হাসপাতালে রোগনির্ণয় যন্ত্র পড়ে থাকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র অকেজো থাকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, হাসপাতালগুলোর পরিচালকসহ মোট ২১ জনকে এ সংক্রান্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক।
তিনি বলেন, এসব হাসপাতালে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও ভেন্টিলেটর যন্ত্র পড়ে আছে। পড়ে থেকে কোনও কোনও যন্ত্র ইতোমধ্যে নষ্টও হয়ে গেছে। কোনোটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। বেশির ভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বলছে, যন্ত্র অব্যবহৃত থাকার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব। আবার কোথাও কারিগরি সহায়তার অভাবে যন্ত্র বসানো যায়নি।
এর আগে ‘অবহেলায় পড়ে আছে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি ভেন্টিলেটরি’ শিরোনামে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালত নজরে নিয়ে এই আদেশ দেন। ওই প্রতিবেদনটি আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক ও এম এমদাদুল হক নজরে আনলে আদালত তা আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন।
আদালত তার আদেশে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য ক্রয় করা অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি ভেন্টিলেটর দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখার ঘটনা কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সদ্য অবসরে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ড. মোয়াররফ হোসেনের অবসরকালীন পেনশন সুবিধা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য ক্রয় করা অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি ভেন্টিলেটর দীর্ঘ দিন ধরে ফেলে রাখার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১)