পরীমনিকে পরের দুইবার রিমান্ড: হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন ২ বিচারক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া দুই বিচারক ক্ষমা চেয়েছেন হাইকোর্টে।
বিচারিক আদালতের দুই হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম আজ বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) লিখিতভাবে ক্ষমা চান।
লিখিত বক্তব্যে তাঁরা জানান, অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে রিমান্ড আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দুই বিচারক। এ ছাড়া অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চান তাঁরা।
এর আগে, কী তথ্যের ভিত্তিতে চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল, হাইকোর্টের কাছে তার ব্যাখ্যা দেন রিমান্ড মঞ্জুরকারী ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এই ব্যাখ্যা দাখিল করা হয়। রেজিস্ট্রার কার্যালয় আজ বুধবার শুনানির আগে হাইকোর্টে ওই ব্যাখ্যা দাখিল করে।
গত ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১০ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট দুই বিচারকের প্রতি নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার নথিসহ সশরীরে হাইকোর্টে হাজির থাকার নির্দেশ দেন। পরীমনিকে রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা প্রশ্নে হস্তক্ষেপ চেয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) করা এক আবেদনে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদেশে প্রশ্ন রাখা হয়, তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের সময় কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন? প্রথম চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে এমন কী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল যে তাঁকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে নিতে হবে?
আদালত বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা চাইল আর তাতেই কিভাবে সংবিধান ও দেশের অন্যান্য আইন লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করে দিলেন মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট, এটা বুঝে আসে না।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১)