অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশে সাংবাদিক নেতাদের বিস্ময়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ৭ দিনের মধ্যে বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশে বিস্ময় এবং উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। দুই সংগঠনের নেতারা আদালতের আদেশকে ‘অনভিপ্রেত ও অবিবেচনাপ্রসূত’ বলে মন্তব্য করেন।
গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন এবং ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার হাইকোর্টে একটি রিট শুনানি শেষে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হাসান মোল্লার একটি বেঞ্চ নিবন্ধিত ৯২টি নিউজ পোর্টাল ছাড়া বাকি সব নিউজ পোর্টাল আগামী ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ করতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ প্রদান করেছে।
আদালতের এ আদেশের প্রতিক্রিয়ায় নেতৃদ্বয় বলেন, নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ৩৫৯৭টি নিউজ পোর্টাল। নিবন্ধন পেয়েছে মাত্র ৯২টি। হাইকোর্ট ৯২টি নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল ছাড়া সব নিউজ পোর্টাল বন্ধের আদেশ দিয়েছেন। এ আদেশ দুঃখজনক। কারণ আবেদনকারী সাড়ে ৩ হাজারের মধ্যে মানহীন পোর্টাল যেমন আছে তেমনি মানসম্পন্ন ও পাঠকপ্রিয় পোর্টালও আছে বহুসংখ্যক। সেখানে বহু যোগ্য সংবাদকর্মী ও কর্মচারী আছেন। উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ রয়েছে বিভিন্ন অঙ্কে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সরকারের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক বছর আগেই অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের আবেদন করা হয়। দীর্ঘ সময়েও আবেদনগুলো যাচাই করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। যাচাইয়ের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার অভাব দেখা গেছে। আবেদনকারীর ব্যাপারে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে অনুসন্ধান চলে। এমন বাস্তবতায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার আগেই এক কলমের খোঁচায় নির্বিচারে হাজার হাজার পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ যুক্তিসঙ্গত ও সুবিবেচনাপ্রসূত নয়।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ আদেশ কার্যকর নিয়ে পক্ষপাত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের স্তুতিতে যারা পারঙ্গম তাদের পোর্টাল বন্ধ না-ও করা হতে পারে। কারণ বন্ধের কাজটি করবে সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা। আশা করি বাস্তবতা বিবেচনায় আদালত তাদের আদেশ বিবেচনা করবেন এবং তথ্য মন্ত্রণালয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ ও ত্বরান্বিত করবে। এ ক্ষেত্রে আদালত নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে যুক্তিসঙ্গত সময় বেঁধে দিতে পারেন। বিজ্ঞপ্তি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১)