এমএলএম লাইসেন্সের আবেদন ফি ২০ হাজার টাকা
সোহেল রহমান, দিরিপোর্ট২৪ : মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্সের জন্য ২০ হাজার টাকা আবেদন ফি (অফেরতযোগ্য) নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আবেদনকারীকে সরাসরি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে এ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে এবং চালানের মূল কপি আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত এক সার-সংক্ষেপে এ কথা বলা হয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্য গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
প্রণীত সার-সংক্ষেপে এমএলএম কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাইসেন্সের আবেদন ফি (অফেরতযোগ্য) ২০ হাজার টাকা, লাইসেন্স ফি (অফেরতযোগ্য ও এককালীন) সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অনুমোদিত মূলধনের দশমিক ২৫ শতাংশ, লাইসেন্স নবায়ণ ফি লাইসেন্স ফি’র ২৫ শতাংশ এবং লাইসেন্সের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহে ১ হাজার টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩’ অনুযায়ী আবেদনপত্র গৃহীত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সরাসরি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে লাইসেন্স ফি প্রদানের বিধান রয়েছে এবং চালানের মূলকপি দাখিল করার পর আবেদনকারীর বরাবর লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।
অন্যদিকে লাইসেন্স নবায়ণের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদনের বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে লাইসেন্সের মেয়াদ শেষে ৯০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফি’র সঙ্গে এর ৫০ ভাগ অতিরিক্ত অর্থ বিলম্ব ফি বাবদ প্রদান করতে হবে। এ সময়ে লাইসেন্স নবায়ণে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নবায়ণের আবেদন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে নবায়ণ ফি’র সমান (অর্থাৎ ১শ’ ভাগ) বিলম্ব ফি দিতে হবে।
এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত যে কোনো কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে। বিধান অনুযায়ী গৃহীত সিদ্ধান্তের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। আর এ বাবদ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে লাইসেন্স ফি বাবদ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অনুমোদিত মূলধনের ১ শতাংশ, লাইসেন্স নবায়ণ ফি লাইসেন্স ফি’র ২৫ ও ৫০ ভাগ নির্ধারণের মত ব্যক্ত করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু পরবর্তীতে ফি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে লাইসেন্স ফি অত্যন্ত বেশি বলে মত ব্যক্ত করেন বক্তারা।
পাশাপাশি লাইসেন্সের মেয়াদ এক বছর হওয়ায় প্রতিবছরই এটা নবায়ণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে নবায়ণ ফি বেশি হলে তা ব্যবসার ব্যয় বাড়িয়ে দেবে এবং সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ওই সভায় মত ব্যক্ত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ফি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
(দিরিপোর্ট২৪/এসআর/এনডিএস/নভেম্বর ১১,২০১৩)