ইভ্যালির গ্রাহকদের টাকা পেতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গ্রাহকের টাকায় গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে কোম্পানি আইন অনুযায়ী অবসায়নের মাধ্যমে দেনা পরিশোধের প্রস্তাব করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘ই-কমার্স খাতের চ্যালেঞ্জ: সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট ও করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় এ প্রস্তাব দেন বক্তারা।
তারা বলেন, ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর অনিয়ম ঠেকাতে বিদ্যমান আইনই যথেষ্ঠ। প্রয়োজন শুধু সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা, সমন্বয় ও সক্ষমতা বাড়ানো।
ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় সভায় ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম বলেন, ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর অনিয়ম ঠেকাতে আইনের অভাব নাই, নতুন আইনেরও দরকার নাই। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা যদি বাড়ানো যায় এবং সেই প্রতিষ্ঠানগুলো যদি সততার সাথে কাজ করে তাহলে এ ধরনের অনিয়ম ঠেকানো যাবে।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশন ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) যেসব আইন আছে, তা দিয়ে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
বিভিন্ন আইনের বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থাগুলো ‘পদে পদে অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে’ মন্তব্য করে প্রতিযোগিতা কমিশন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদাহরণ টানেন কর্পোরেট আইন বিশেষজ্ঞ তানজিব।
ব্রাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আরএফ হোসাইন বলেন, ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জসহ বেশকিছু ই-কমার্স কোম্পানি দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় বিপদ সংকেত দিয়েছে। গ্রাহকদের পাওনা টাকা কোথায় আছে, তা খুঁজে বের করে যেটুকু সম্ভব ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হাতে যেসব আইন আছে তা দিয়েই ই-কমার্স খাত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। কিন্তু তাদের লোকবল সেরকম লোকবল নেই।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে ‘ডিজিটাল মনিটরিং’বাড়াতে হবে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও জনবল সরকারের নেই। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১)