দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ করা হয়নি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশন অফিসার শাহ আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে সিন্ডিকেট বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবার রাতে জানায়, সিন্ডিকেট বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি। পাবলিক রিলেশন অফিসার শাহ আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিন্ডিকেট সভায় বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অস্থিরতা নিরসনে ফারহানা ইয়াসমিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়নি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার বিষয়টি বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী লজ্জায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও জানা যায়।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার রাতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন। শিক্ষার্থীরা এতে শান্ত হয়ে যায়।

কিন্তু ওই দিন রাতে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বলেন, ‘আমি যাদের চুল কেটে দিয়েছি তাদের চিনি না। তারা আমার শিক্ষার্থী কিনা তাও বলতে পারবো না।’ তার এমন বক্তব্যের পর আবারও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। স্থায়ীভাবে তাকে শিক্ষক পদ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০২ অক্টোবর, ২০২১)