দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক স্থাপনে ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন, ২০১৩’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, এ ব্যাংকটি পল্লী এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আইনের এ খসড়াটি উপস্থাপন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ একটি সফল প্রকল্প। এ প্রকল্পটিকে একটি সাংগঠনিক রূপ দিতে কিভাবে চালু রাখা যায় এজন্য একটি বিশেষায়িত ব্যাংক প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব রাখে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকও সম্মতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতাধীন সমবায় সমিতিসমূহ এ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হবে।

মোশাররাফ হোসাইন বলেন, ব্যাংকটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন হবে যথাক্রমে ১০০০ কোটি টাকা এবং ২০০ কোটি টাকা। এতে সরকারি শেয়ারের পরিমাণ হচ্ছে ৫১ শতাংশ এবং বাকী ৪৯ শতাংশ থাকবে সমবায় সমিতিগুলোর। ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে ১৫ জন সদস্য থাকবেন। এর মধ্যে আটজন সরকার নিয়োগ দেবে ও বাকি সাতজন সাত বিভাগে প্রকল্পের সমবায় সমিতি থেকে আসবেন। ১৫ জনের মধ্য থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড একজনকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবে।

গত ৭ নভেম্বর অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, পল্লী এলাকার জনগণকে সঞ্চয়ে উৎসাহিত করা এবং পল্লী এলাকায় বিনিয়োগ বাড়ানোই এ ব্যাংকের মূল লক্ষ্য হবে।

‘গ্রামীণ ব্যাংকের বিকল্প হিসেবে এ ব্যাংকটি স্থাপন করা হচ্ছে কি না’ এমন গুঞ্জন রয়েছে অনেকের মনে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে এ ব্যাংকের মিল রয়েছে, তবে অমিলও রয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ করে, তবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মূল কাজ ক্ষুদ্র সঞ্চয়। গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য ব্যক্তি আর এ ব্যাংকের সদস্য হচ্ছে সংগঠন। এছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের শেয়ার কম হলেও এই ব্যাংকে সরকারের শেয়ার বেশি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে লভ্যাংশ দেওয়া হবে, তবে গ্রামীণ ব্যাংকে লভ্যাংশ দেওয়া হয় না।

মোশাররাফ হোসাইন আরো বলেন, গ্রামে সঞ্চয় হয় তবে তা সেখানে ধরে রাখা যায় না। এ সঞ্চয় শহরে চলে আসে। নতুন এ ব্যাংকের সঞ্চয় গ্রামে বিনিয়োগ করে গ্রামের উন্নয়ন আরো বেগবান করা হবে।

(দিরিপোর্ট২৪/আরএমএম/এমএইচ/এমডি/নভেম্বর ১১, ২০১৩)