চলতি মাসেই খুলছে সব বিশ্ববিদ্যালয়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছরের মতো বন্ধ থাকা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই খুলে দেওয়া হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সোমবার সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
দেশে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। এরপর সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী হলে কয়েক দফা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও মহামারী আবার বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়।
পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাসে ফিরেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্যাম্পাস ও হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর একে একে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল খুলে দিতে পদক্ষেপ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ৫ অক্টোবর থেকে এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্স পরীক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়ার সনদ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও সেমিনার লাইব্রেরিতেও যেতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থার মধ্যে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলতি মাসেই খুলে দেওয়ার কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিনারিও কি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলতে কেন দেরি হচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে- বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলে। আশা প্রকাশ করছি যে, এ মাসের মধ্যে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘একটা প্রাক্টিক্যাল প্রবলেম হলো ম্যানেজমেন্ট। হলগুলোর অবস্থা তো খুবই খারাপ। দুই বছর যেহেতু বন্ধ ছিল সুতরাং হলগুলো খুলে রিনোভেন্ট করে ছাত্র-ছাত্রীদের জিনিসপত্র বা বিছানাপত্র কতটুকু ব্যবহার উপযোগী আছে, সেগুলো দেখতে হবে। অ্যাপারেন্টলি মনে হচ্ছে যে, এটাই অন্যতম বড় একটা কারণ ইউনিভার্সিটিগুলো খুলতে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘স্কুল-কলেজ তো আমরা খুলে দিয়েছি, পরীক্ষাও ডিক্লেয়ার করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ইনশিওর করেছেন যে, পরীক্ষা নিতে কোনো অসুবিধা হবে না, যেগুলো অলরেডি ডিক্লেয়ার করা হয়েছে। যদি ম্যাসিভ কোনো ডিটুরেশন না হয়, এই সিনারিও কন্টিনিউ থাকলে বা স্ট্যাবল থাকলে ইনশাল্লাহ যেভাবে পরীক্ষা ডিক্লেয়ার করা হয়েছে, সেটা নিয়ে নেওয়া হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৪ অক্টোবর, ২০২১)