দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো তিনজন। নিহত সজিবুর রহমান ৫ ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য এবং আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা কমিটির সদস্য।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহীনুর রহমান এবং কাপ্তাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ওমর ফারুক জানান, রাতে আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে নিলে কাপ্তাই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার সজিবুর রহমান মারা যান। অন্য তিনজনের চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত সজিব আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের সমর্থক। লতিফ এবার আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন পাটোয়ারি বাদলও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে নতুন বাজার এলাকায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের বচসা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় ভারি কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করায় গুরুতর আহত হন সজিবুর রহমান ওরফে সজিব মেম্বার।

গত ১৭ অক্টোবর এই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যা করে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। ওই ঘটনার পর এই ইউনিয়নের নির্বাচনী পিছিয়ে ২৮ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

কাপ্তাইয়ের বাকি তিন ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ এই ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আগেই প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, এটি পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। আমি এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি।

পুলিশের কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব বলেন, বাজারে চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতি থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে সজিবুর রহমান নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় চারজনকে পুলিশ আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৭ অক্টোবর, ২০২১)