দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতের মুম্বাইয়ের প্রমোদতরীকাণ্ডে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করেছে পুলিশ। পুনে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত বলেছেন, মুম্বইয়ের প্রমোদতরীতে মাদক মামলায় এনসিবির অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে, তার বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ে লুকআউট নোটিশ জারি হয়েছে। মাদককাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী সেই কিরণ গোসাভি নাকি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশে। শুধু তাই নয়, সেখানে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণও করতে চেয়েছেন! নতুন একটি অডিও বার্তা প্রকাশ্যে আসে।

গোসাভির বিরুদ্ধে যখন লুকআউট নোটিশ জারি হয়েছে, সে সময়ই উত্তরপ্রদেশে একটি অডিও বার্তা ভাইরাল হয়। সেই অডিও বার্তায় নিজেকে কিরণ গোসাভি বলে পরিচয় দিতে শোনা গিয়েছে এক ব্যক্তিকে। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এটা কি মাদিয়াঁও পুলিশ থানা?’ থানা থেকে যখন উত্তর দেওয়া হয় যে এটা মাদিয়াঁও থানা তখন অডিও বার্তায় ফের শোনা যায়, ‘আমি থানায় আসতে চাই। আমার নাম কিরণ গোসাভি। আমি আত্মসমর্পণ করতে চাই।’ যদিও এই অডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

থানা থেকে তখন পাল্টা জানতে চাওয়া হয়, কেন তিনি এখানে আসতে চান, ওই ব্যক্তি তখন বলেন, ‘এটাই সবচেয়ে নিকটবর্তী থানা, তাই।’ ওই ব্যক্তির আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর থানা থেকে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এখানে আত্মসমর্পণ করা যাবে না। অন্য কোথাও চেষ্টা করুন।

উত্তরপ্রদেশে কিরণের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা জোরালো হতেই সে রাজ্যের পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, উত্তরপ্রদেশে আত্মসমর্পণ করতে পারবেন না আরিয়ান কাণ্ডের সাক্ষী কিরণ। কারণ লক্ষ্ণৌ পুলিশের কোনো আইনি অধিকার নেই কিরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। যদিও ওই ব্যক্তি আদৌ কিরণ কি না, বা ওই অডিওর আদৌ কোনো সত্যতা আছে কি না, তা স্পষ্ট হয়নি।

তবে মুম্বইয়ে অভিযুক্ত কিরণ যেকোনো ভাবেই উত্তরপ্রদেশে গিয়ে নিজের পিঠ বাঁচাতে পারবেন না, সে কথা এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্ণৌয়ের পুলিশ কমিশনারও।

মাদক মামলায় আরিয়ান খান আটক হওয়ার পর তার সঙ্গে সেলফি তুলে ভাইরাল হয়েছিলেন কিরণ। মুম্বাইয়ে তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, তাই শহর ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে দাবি করেন কিরণ।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‌৬ অক্টোবর পর্যন্ত মুম্বাইয়ে ছিলাম। তারপর ফোন বন্ধ করে শহর ছাড়তে বাধ্য হই।

কিরণের সঙ্গেই এনসিবির আলোচিত কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনেছেন প্রভাকর সেইল নামে এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে কিরণের দেহরক্ষী বলে পরিচয় দিয়েছেন। যদিও কিরণ সেই অভিযোগ খণ্ডন করে পাল্টা দাবি করেছেন, তিনি সমীরকে শুধু ছবিতেই দেখেছেন।

মুম্বাই ক্রুজ মাদক মামলায় ৩ অক্টোবর এনসিবির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরিয়ান খান। তারপর থেকে একাধিক বার আরিয়ানের আইনজীবী তার জামিনের আবেদন জানালেও বার বার তা খারিজ হয়ে গেছে। গত বুধবার ফের একবার বিশেষ এনডিপিএস কোর্টও আরিয়ানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। সম্প্রতি ক্রুজ পার্টি কাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা যায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকুরকেও।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৮ অক্টোবর, ২০২১)