চলতি সপ্তাহে পদ্মাসেতুতে পিচ ঢালাই শুরু
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পদ্মাসেতুর সড়ক পথের পিচ ঢালাইয়ের কাজ (কার্পেটিং) আরো দুই সপ্তাহ আগে শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তাই এবার চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে এ কাজ। এমনটাই জানিয়েছেন পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের। গত দুই দিন ধরে টানা রোদ থাকায় পদ্মাসেতু সংশ্লিষ্টরা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরুর আশা করছেন। জাজিরা প্রান্ত থেকে কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হবে।
১৯ অক্টোবর থেকে পদ্মাসেতুর সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চার মিলিমিটার পুরুত্বের এই স্তরকে প্রকৌশলীরা ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে অভিহিত করছেন। ইংল্যান্ড ও ইতালি থেকে এই স্তর তৈরির জন্য রাসায়নিক আমদানি করা হয়েছে।
আজ (শনিবার, ৩০ অক্টোবর) পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, পিচ ঢালাই শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তা শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। রোদ দেখা দিচ্ছে গত দুই দিন ধরে। তার আগে দফায় দফায় বৃষ্টির ফলে পিচ ঢালাই শুরু করা যায়নি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতুর ভায়াডাক্টে পানি নিরোধক স্তর বসানো হচ্ছে না। তাই গত বুধবার ভায়াডাক্টের ৬০ মিটার অংশে পিচ ঢালাই করা হয়। মূল সেতুর পিচ ঢালাই শুরু হবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সেতু বাস্তবায়নকারী এ সংস্থার।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে একে একে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়। তারপর বসানো হয়েছে সড়ক যান চলাচলের জন্য কংক্রিটের স্ল্যাব। পদ্মাসেতুর পিচের পুরুত্ব হবে ১০০ মিলি মিটার। তারপর পার্শ্ব দেয়ালসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।
প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ যাবত সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ, নদীশাসনের কাজ হয়েছে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মাসেতু প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মাসেতুর কাজ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর মধ্যদিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মাসেতু। ৪২টি পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হয়। সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয় গত বছরের (২০২০) ১০ ডিসেম্বর। এতে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মাসেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০ অক্টোবর, ২০২১)