দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচ অধরা জয়ের খোঁজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ রিয়াদ-মুশফিক সহ দলের অধিকাংশ ব্যাটাররাই এদিন ব্যাট হাতে ছিল চরম ব্যর্থ। ব্যাটারদের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে ১৮.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান করে বাংলাদেশ।

আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা যথারীতি ধীরগতির ছিল। কাগিসো রাবাদার করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে লিটন দাসের সৌজন্যে আসে প্রথম বাউন্ডারি। দুজনের জুটি মোটামুটি জমে গিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির সমস্যা আর কাটল না। রাবাদার করা চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলের লাইনে না গিয়ে উড়িয়ে মারতে যান নাঈম। কিন্তু মিড-উইকেটে ক্যাচ উঠে যায়। হেন্ডরিক্সের তালুবন্দি হয়ে নাঈম ফিরেন ১১ বলে ৯ রানে।

উইকেটে আসেন ফর্মহীনতায় ভোগা সৌম্য সরকার। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রাবাদা। ফিল্ড আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। প্রোটিয়ারা রিভিউ নেয়। রিভিউতে দেখা যায়, সৌম্যকে ফিরতে হবে। গোল্ডেন ডাক মেরে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সৌম্য। রাবাদার সামনে পরবর্তী ওভারে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি হয়। ২২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফিরতি ওভারের প্রথম বলে রাবাদা হ্যাটট্রিকটা করেই ফেলতেন, যদি না মুশফিকের দেওয়া ক্যাচটা নো ম্যানস ল্যান্ডে পড়ত।

কিন্তু ওভারের তৃতীয় বলেই রাবাদা ফের শিকার ধরেন। ঘণ্টায় ৮৫ মাইল গতির লাফিয়ে ওঠা বলে মুশফিক আউটসাইড-এজড হয়ে যান। গালিতে থাকা হেনড্রিক্স দারুণ দক্ষতায় ক্যাচ নেন। ভিডিও দেখে আম্পায়াররা নিশ্চিত হন, হেনড্রিক্স ক্যাচটা নিয়েছেন। ৩ বলে `ডাক` মেরে ফিরেন মুশফিক। পাওয়ারপ্লের ৩৬ বলে আসে মাত্র ২৮ রান। উইকেটে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে আজ শনির দশা লেগেছে।

এনরিখ নর্টিয়ের করা ৮ম ওভারের শেষ বলে এইডেন মার্করামের তালুবন্দি হয়ে ফিরেন ৯ বলে ৩ রান করা বাংলাদেশ অধিনায়ক। পরের ওভারে আবারও বিপদ। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসা আফিফ হোসেন ধ্রুব প্রিটোরিয়াসের বলে বোল্ড হয়ে `গোল্ডেন ডাক` মারেন। ইনিংসে এটা তৃতীয় `ডাক`। ৩৪ রানে নেই ৫ উইকেট। ১০ ওভারে ওঠে ৪০ রান। একপ্রান্ত আগলে টেস্ট মেজাজে খেলছিলেন লিটন দাস। ১২তম ওভারে দলীয় ৪৫ রানে তিনি লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। রিভিউ নিয়েও সিদ্ধান্ত পাল্টানো যায়নি। ৩৬ বলে ১ চারে ২৪ রান করে ফিরেন লিটন।

শামীম আর মেহেদী মিলে `টেস্ট` খেলতে শুরু করেন। তাবারেজ শামসির করা ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনের সীমানার কাছে কেশব মহারাজের তালুবন্দি হন ২০ বলে ১১ করা শামীম। ৬৪ রানে ৭ম উইকেটের পতন। স্কোরবোর্ডে আর ১৩ রান যোগ হতে রান-আউট হন তাসকিন আহমেদ (৩)। ১৮তম ওভারে ইনিংসের প্রথম ছক্কা মারেন মেহেদি হাসান। এনরিখ নর্টিয়ের ১৯তম ওভারের প্রথম বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন ২৫ বলে ২৭ রান করা মেহেদি হাসান। পরের বলেই নাসুমকে (০) বোল্ড করে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টানেন নর্টিয়ে। ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। শরীফুল ০* রানে অপরাজিত থাকেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০২ নভেম্বর, ২০২১)