দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধের প্রভাব পড়েছে সবজির কাঁচাবাজারে। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ বেশি দামে।

আড়তমালিক ও সবজি বিক্রেতারা জানান, ডিজেলের দাম বাড়ায় ট্রাক মালিকরাও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি যানবাহন চলাচল বন্ধের ঘোষণায় রাজধানীতে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক কম এসেছে। এ দুই কারণে সবজির দাম বেড়েছে। তবে মাছ ও সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে।

এদিকে সবজির দাম বাড়ায় চাপের মুখে পড়েছেন ক্রেতারা। অনেকে বাজারে এলেও প্রয়োজনীয় জিনিস না কিনে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

বাজারে কিছু শীতের সবজি এলেও দাম আকাশচুম্বি। প্রতি কেজি শিম ১২০-১৩০, গাজর ১০০-১১০, টমেটো ১১০-১২০ এবং ছোট জাতের করলা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপির দাম ৩০-৫০, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা। অন্যান্য সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৬০ টাকার ভেতর।

গত মাসে বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে প্রতি লিটারে খোলা সয়াবিন তেল ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দাম নিচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের দর ১৩৬ টাকা ও পামওয়েল ১১৮ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬০ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৭৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে খুচরা বিক্রেতারা প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৫২ থেকে ১৫৫ এবং পামতেল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি করছেন।

গত সপ্তাহে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া আলুর দাম কমেনি এখনও। মানভেদে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়, যা ৮-১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৬ থেকে ২০ টাকা। শুল্ক প্রত্যাহার ও আমদানি স্বাভাবিক হওয়ার পরও আগের দরে ফেরেনি পেঁয়াজ। বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬২, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। এ ছাড়া দেশি রসুন ৬০ টাকা হলেও চড়া দাম রয়েছে ভারতীয় রসুনে। বড় দানার ভারতীয় রসুন কিনতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৬ নভেম্বর, ২০২১)