দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শিগগিরই ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে আটকে থাকা গ্রাহকের টাকা ফেরত প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার আগে নেয়া হবে আইনি মতামত।

মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জটিলতা নিরসনে গঠিত কমিটির এক বৈঠক শেষে এ কথা জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এসক্রো সার্ভিসে (গেটওয়ে) আছে ২১৪ কোটি টাকা। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগ ও সিআইডিকে চিঠি দিয়েছিলাম। তার প্রেক্ষিতে মাঝখানে আরও একটি মিটিং হয়েছে। টাকাটা কিভাবে ফেরত দেওয়া হবে, সে বিষয়ে একটা মিটিং করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সেখানে সিআইডিসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, সেখানে যেটা আলোচনা হয়েছে, এই টাকার একটা বড় অংশ মামলা মোকাদ্দমার মধ্যে আটকে আছে। সে বিষয়ে একটা লিগ্যাল ওপিনিয়ন (মতামত) দরকার। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের আইন বিভাগে মতামত চেয়েছি। গতকালও এটা নিয়ে কথা বলেছি। এটা পেলে মামলা মোকাদ্দমার বাইরে যে টাকা রয়েছে, সেটা আমরা ফেরত দেবো।

আটকে থাকা টাকা কবে নাগাদ ফেরত দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা ফ্রিজ করে রেখেছে সিআইডি। এই কারণেই টাকা আটকে আছে। নইলে টাকা বের হয়ে যেতো।

অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, এটার সাথে যেহেতু মামলা জড়িত আছে তাই আমরা সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ একটা গ্রুপ কাজ করছি, এ টাকা কিভাবে ফেরত দেওয়া যায়। এটার জন্য দুই একদিনের মধ্যে হয়তো মতামত পেলে আমরা টাকা ছাড় করার ব্যবস্থা করবো।

বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ঘরে বসে অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা বা ই-কমার্স ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর গোটা খাতটি এখন ভুগছে আস্থার সংকটে।

খুব অল্প সময়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯ নভেম্বর, ২০২১)