ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড, কী শিক্ষা পেল বাংলাদেশ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেভারিটের তকমা নিয়ে আসেনি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড। এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এর আগের ছয় আসরে একবারও ফাইনালে খেলেনি কিউইরা। অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল খেলেছিল ২০১০ সালে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেবার হেরে গিয়ে হাতছাড়া করে শিরোপা। ওয়ানডেতে ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঘরে নেই একটা টি-টোয়েন্টি ট্রফিও। চলতি আসরের আগে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করে অজিরা।
সফরে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরে একটা মাত্র জয় নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পা রাখে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের দলটা বাংলাদেশে না পাঠালেও শেষ পর্যন্ত দলে রাখে ৬ জনকে।
আরেক ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড এর আগে একবারও খেলেনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। আরব আমিরাতের কন্ডিশনে তাদের ফেভারিটের তালিকায়ও রাখেনি অনেকে। অথচ তারাই কী না বাজিমাৎ করে দেখাল শেষ পর্যন্ত।
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অজিদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শিরোপা হাতছাড়া দলটার সামনে আবারও সেই অস্ট্রেলিয়া। এবার অজিদের হারিয়ে শিরোপা জিতে ঘরে ফিরতে পারবেন কী না কিউইরা সেটা সময়ই বলে দেবে।
তার আগে আসা যাক বাংলাদেশ সফরের কথায়। অজিদের মতো প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কিউইরাও বাংলাদেশ সফর করে, খেলে ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ফলাফল ছিল বাংলাদেশের কাছে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হার। যদিও বাংলাদেশ সফরের দলে থাকা কাউকে রাখা হয়নি কিউইদের বিশ্বকাপ দলে।
আসা যাক বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির কথায়। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে টানা দুটি সিরিজ জিতে দুর্দান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ওমানে পা রাখে টাইগাররা।
প্রথম পর্ব বা কোয়ালিফাইং রাউন্ডের প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে কিছুটা হলেও নিশ্চয় বুঝতে পারে, প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল কতটা। মিরপুরের মন্থর আর টার্নিং উইকেটে নিজেদের শক্তি দেখিয়ে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে এসে কতটা অসহায় হতে হয়েছে সেটা ওমানের বিপক্ষে ম্যাচেও প্রমাণিত।
ওমানের বিপক্ষে ম্যাচটা কোনোমতে জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়াকে।
সুপার টুয়েলভের ফলাফল পাঁচ ম্যাচের প্রত্যেকটি হার। শ্রীলঙ্কা আর উইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের অনেক কাছে গিয়ে হারলেও বাকি তিন দলের সঙ্গে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্বীকার করেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পায়ের তলায় এখনও মাটি খুজছি আমরা।’
মিরপুরের মন্থর আর টার্নিং উইকেটে যে দুইটা দল খেলে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে, এখন সেই দুই দল ফাইনাল খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুবাইতে। অথচ এই দুই দলকে বড় ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে আসা বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট শেষ করেছে সব ম্যাচ হেরে সবার আগে।
তবে কী শুধুই মিরপুরের উইকেটের দোষ? এই মাঠে খেলেই ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল আর ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১৯ বিশ্বকাপে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো বড় দলগুলোকে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১২ নভেম্বর, ২০২১)