দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ৪০১ ধারায় করা বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, তিনি দেশেই চিকিৎসার সার্বিক সুযোগ পাচ্ছেন। অতএব, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ (মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর) সংসদে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, উনারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) যখন আবেদন করেছেন, তখন সেটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ৪০১ ধারা মোতাবেক, এটি (বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ) আর নতুন করে গ্রহণ করার সুযোগ নেই। আইন সবার জন্য সমান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতার কারণে উনি (বেগম খালেদা জিয়া) বাড়তি কিছু সুবিধা পাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার আমলে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাকে সঠিক হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি।

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে সরকারের কাছে আবারও আবেদন করেছে তার পরিবার। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ছয়দিনের ব্যবধানে খালেদা জিয়াকে আবার ঢাকায় বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তির পর রবিবার রাত থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেন।

তার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার এখন বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন- চিকিৎসকরা এ একটাই পরামর্শ দিচ্ছেন। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রারাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতার জন্য টানা ২৬ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া।

এর আগে এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হন তিনি। পরে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন।

পরে করোনার টিকা নিতে তিনি দুদফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬ নভেম্বর, ২০২১)