দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে করোনাভাইরাসের টিকার দাম জানানো হলেও টিকা কিনতে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, জাতীয় সংসদে তা জানাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’–এর মাধ্যমে টিকা কেনায় অর্থ খরচের হিসাব সংসদে প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে টিকা কেনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন জানতে চান, এখন পর্যন্ত কতজনকে টিকা দেওয়া হয়েছে এবং করোনার টিকা দিতে সরকারের কত টাকা ব্যয় হয়েছে? জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

সরকারি দলের সাংসদ আবুল কালাম আজাদও টিকার খরচ সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আইন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স থেকে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা কেনা হয়েছে। ‘নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’–এর মাধ্যমে টিকা কেনার কারণে সংসদে খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

গত ৯ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে করোনা চিকিৎসার ব্যয় জানানো হয়। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়, ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা কেনা হয়েছে (এখন পর্যন্ত)। প্রতি ডোজ ৩ হাজার টাকা হিসাবে মোট ৩ হাজার ৪৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

সরকারি দলের সাংসদ আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণের জন্য মোট ২৯ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডোজ টিকার সংস্থান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত (১৩ নভেম্বর) প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৮ নভেম্বর, ২০২১)