দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শীত আসতে শুরু করায় সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে বাজারে। কিছুদিন আগেও ৬০/৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি না পাওয়া গেলেও বর্তমান বাজারে সে দাম কমতে শুরু করেছে।

আজ (শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখে গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, আসন্ন শীতের এই সময় দাম আরো কম থাকার কথা। সেই তুলনায় কিছুটা বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের বাজারে বড় সাইজের একটি ফুলকপি ৪০/৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে বিক্রি হয়েছে ৬০/৭০ টাকায়। একইভাবে বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩৫/৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা থেকে কমে প্রতি কেজি ৬০/৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০০ টাকা কেজির সিম ২০ টাকা কমে আজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

শুক্রবারের বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ দাম কমে ৮০/৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শসা ৪০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে আগের মতো বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে টমেটো, গাঁজর। বাজারে আজ টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে আর গাঁজর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকায়। পিঁয়াজের কেজি মানভেদে ৬০/৬৫ টাকা।

রাজধানীর মধ্য বাড্ডার কাঁচাবাজারে ছুটির দিনে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, বিগত কয়েক মাসের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে এটা ঠিক। তবে শীতের মৌসুমে অন্যান্যবার যেমন থাকে সেই তুলনায় দাম এখনও বেশি। এখনও বাজারে সব সবজি বলতে গেলে ৫০ টাকার ওপরেই বিক্রি হচ্ছে। যা সাধারণ নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য বেশিই বলা চলে।

অন্যদিকে রামপুরা কাঁচা বাজারের দোকানী শহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত ৪/৫ মাস সবজির বাজার অনেকটা চড়া ছিল। তবে এখন কমতে শুরু করেছে। নতুন সবজি আসতে শুরু করলে এই দাম আরো কমে যাবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সবজির যে দাম তা আরো একটু কম থাকতো। তবে ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় ট্রাক ভাড়া বেশি পড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। ট্রাক ভাড়া কম থাকলে এই সময় সবজি আরেকটু কমে পাওয়া যেতো।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। চার সপ্তাহের ব্যবধানে এ দাম কমেছে কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা। সপ্তাহ চারেক আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি ও লাল লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

মুরগির দাম বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আরমান বলেন, দিন যত যাচ্ছে বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ বাড়ছে। আমাদের ধারণা এ কারণেই দাম কমছে। পাইকারি বাজারে যা শুনছি, সামনে হয়তো ব্রয়লার মুরগির দাম আরো কমবে।

মুরগির দাম কমলেও সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিন মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছও। এছাড়া শিং ও টাকি মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাস ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, নলা মাছ ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি আর চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯ নভেম্বর, ২০২১)