দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: হাসপাতালে কঠিন এক যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরলেও কয়েক মাসের মধ্যেই বড় একটা অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের সংঘাতে আহত শিক্ষার্থী মাহদী আকিবের। প্রতিস্থাপন করতে হবে ভেঙে যাওয়া মাথার খুলি।

জীবনমৃত্যুর ক্ষণ থেকে বেঁচে ওঠে ফিরছেন মায়ের কোলে। তাই হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছ থেকে বিদায়ের সময় একরাশ আনন্দের ঝিলিক আকিবের চোখে-মুখে।

১৯ দিন ধরে যেন যমে-মানুষে টানাটানি হাসপাতালের বেডে। শেষ পর্যন্ত জীবনের আলোয় ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়েই সন্দিহান ছিলেন চিকিৎসকরা। তবে কঠিন এক যুদ্ধ শেষে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন আকিব।

এখন কিছুটা হাঁটাচলা করতে পারছেন আকিব। তিনি জানান, বিদ্যাপীঠে এমন সংঘাত যেন আর কখনো না হয়। যেন অবসান হয় অপরাজনীতির। একই প্রত্যাশা স্বজনদেরও।

চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক নোমান খালেদ চৌধুরী জানান, আকিবের মাথায় আঘাত গুরুতর হওয়ায় আর্টিফিশিয়াল ডুরামেটার দিয়ে তৈরি করা হয় পর্দা। সেখানে থাকা হাড় পেটের চামড়ার নিচে আলাদা একটা কক্ষ তৈরি করে রাখা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরেকটি অস্ত্রোপচার করে প্রতিস্থাপন করা হবে হাড়টি।

গত ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে একপক্ষের সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হন এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আকিব। তাতে গুরুতর আঘাত পেয়ে ভেঙে যায় মাথার খুলির হাড়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৯ নভেম্বর, ২০২১)