মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জমি সংক্রান্ত এক মামলায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য রয়েছে।
আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইনজীবী জানান, গাজীপুরের সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দখলে থাকা ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। তখন হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দেন। সেই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আবেদনকারীরা জমি আগের মতো ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন ওই জমি নিজের বলে ব্যবহারে বাধা দেন। এ অবস্থায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেছেন আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। আবেদনটি আজ আদালতের কার্যতালিকায় রয়েছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
ওই ঘটনায় গাজীপুরের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে গাজীপুরে মেয়র-সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে কয়েক দফা। ৩ অক্টোবর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে এর জবাব দিতে বলা হয়। তিনি জবাবও দেন।
ভিডিওর জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন হয়ে যায়। গাজীপুরে সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমে জাহাঙ্গীর আলমকে প্রকারান্তরে এড়িয়ে চলার ঘটনাও ঘটতে থাকে। তার উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে অনড় থাকেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৪ নভেম্বর, ২০২১)