নির্বিষ বোলিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম টেস্টের জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উইকেট না হারিয়েই ১০৯ রান তুলে নিয়েছে সফরকারীরা। চতুর্থ দিনের শেষ দুই সেশনে টাইগার বোলাররা কোনো রকম চাপে ফেলতে পারেনি পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আবদুল্লাহ শফিককে।
চতুর্থ দিনে দুই ওপেনার ব্যাট করেছেন ৩৩ ওভার। এ সময়ে কোনো সুযোগই দেননি চার বোলারকে। একের পর এক ওভার করে গেলেও হতাশ হতে হয়েছে তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, মেহেদী মিরাজ ও আবু জায়েদদের।
আবিদ-শফিক অপরাজিত থেকেই শেষ করেছে দিন, জিততে হলে পাকিস্তানের দরকার মাত্র ৯৩ রান। হাতে আছে পঞ্চম দিন আর ১০ উইকেট। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান আবিদ আলী অপরাজিত আছেন ৫৬ (১০৫) আর আবদুল্লাহ শফিক রয়েছেন ৫৩ (৯৩) রানে।
তার আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামে ৪৪ রানে এগিয়ে থেকে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৮৬ রানে অল-আউট হয় পাকিস্তান।
এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে মাত্র ২৫ রানেই হারিয়ে বসে চার উইকেট। দিন শেষ করেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির শাহ।
তবে চতুর্থ দিনের প্রথম ওভারেই মুশফিকের ১৬ রানে বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এর থেকে উত্তরণের চেষ্টায় থাকা ইয়াসির আলী ও লিটন দাস সামাল দিচ্ছিলেন দারুণভাবে। তবে ২৯তম ওভারের পঞ্চম বলে শাহিন আফ্রিদির লাফিয়ে ওঠা বল লাগে হেলমেটে। খেলতে না পেরে পরের ওভার শেষ হতেই বিশ্রামে চলে যান ৩৬ (৭২) রান করে। পরে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
ইয়াসিরের কনকাশন বদলি হিসেবে ব্যাট করতে নামেন উইকেট রক্ষক-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। লিটন দাস একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে ছিল যাওয়া-আসার মিছিল। লিটনকে সঙ্গ দিতে এসে মেহেদী হাসান মিরাজও থিতু হতে পারেননি, সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে কাঁটা পড়েন ১১ (৪৪) রানে।
ইয়াসিরের কনকাশন বদলি হিসেবে ব্যাট করতে নেমে ভালোই সামলাচ্ছিলেন সোহান তবে, খেসারৎ দিতে হলো সাজিদের বলে বড় শটের লোভ সামলাতে না পেরে। ৩৩ বলে ১৫ রান করে ক্যাচ দেন ফাহিম আশরাফের হাতে।
এদিকে লিটন দাস তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম অর্ধশতক। প্রথম ইনিংসে ১১৪ রানের ইনিংসের পর এই ম্যাচেও তার ব্যাট হাসছিল, হাসছিল বাংলাদেশ। তার ব্যাট দেখাচ্ছিল বড় লিডের স্বপ্ন। কিন্তু এলোমেলো করে দিল সেই আফ্রিদি। এলবিডব্লু হয়ে বিদায় নিতে হয় ৫৯ (৮৯) রান করে।
এরপর আবু জায়েদকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ বার পাঁচ উইকেট নেওয়ার স্বাদ নেন আফ্রিদি। তাইজুল ইসলামকে শূন্য রানে ফেরান সাজিদ খান।
পাকিস্তানের পক্ষে ৫ উইকেট নেন আফ্রিদি, ৩ উইকেট নেন সাজিদ খান ও ২টি উইকেট নেন হাসান আলী।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/২৯ নভেম্বর, ২০২১)