মুরাদ বিদেশে যাবেন না দেশে থাকবেন, তার ব্যাপার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করা তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ডা. মুরাদ বিদেশে যাবেন না দেশে থাকবেন, সেটা তার ব্যাপার।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান।
মুরাদ হাসান বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো আমার জানা নেই। উনি (ডা. মুরাদ) বিদেশে যাবেন না দেশে থাকবেন, এটা উনার ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।
‘খালেদার পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন এখনও আসেনি’
খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমার কাছে আসেনি। উনি যদি করে থাকেন, অন্য কোনো জায়গায় করেছেন, আমার কাছে এ ধরনের আবেদন আসেনি।’
তাহলে এ মুহূর্তে তার পাসপোর্টের অবস্থান কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনার কাছে কী আছে কী নেই, সেটা আমি জানি না। তবে আমি যতটুকু জানি, পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আমাদের মন্ত্রণালয়ে কোনো আবেদন তার আসেনি।’
সরকারের প্রতিহিংসার কারণেই চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খালেদা জিয়া-বিএনপির এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিহিংসার কথাটা কীভাবে এলো, আমার এটা বোধগম্য নয়। জেলে থাকার সময়ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আরও ভালো চিকিৎসার জন্য সাজা স্থগিত করে বাসায় চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তাই প্রতিহিংসার প্রশ্নই আসে না।’
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে আবেদন এসেছিল তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এটা পরবর্তী অ্যাকশনের জন্য, যা করণীয় তিনিই করবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে করণীয় কোনো ইঙ্গিত আসেনি। এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু করণীয় আছে বলে আইন মন্ত্রণালয় জানায়নি।’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা একটা রাজনৈতিক দল। তারা আন্দোলন করতে পারে, প্রতিবাদ করতে পারে, দোয়া মাহফিল করতে পারে, মানববন্ধন করতে পারে। পাশাপাশি সহিংস কোনো ঘটনা যদি ঘটায়, সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে। মানববন্ধন, দোয়া মাহফিল, প্রতিবাদ তো তারা করছেই। কারো জানমাল ধ্বংস করা, অগ্নিসংযোগ করা, রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যা করণীয় তা করবে।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৯ ডিসেম্বর, ২০২১)