শেষবেলায় এক ফোঁটা পানিও পেলেন না, আক্ষেপ প্রত্যক্ষদর্শীর
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভেঙে পড়ছে হেলিকপ্টার। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন কনট্রাক্টর শিবকুমার। ভাই স্থানীয় চা বাগানে কাজ করেন। আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে গেলেন। দেখলেন, তিনটি আধপোড়া দেহ পড়ে রয়েছে। তিন জনের মধ্যে একজন তখনও জীবিত। অস্ফুট স্বরে পানি চাইছেন। শিবকুমার দিশেহারা। তার কাছে যে এক ফোঁটা পানিও নেই! তার সঙ্গে আর যারা ছিলেন, সবাই মিলে ধরাধরি করে একটি চাদরের ওপর রাখলেন মানুষটিকে। উদ্ধারকারী দল এসে নিয়ে গেল তাকে। তখনও শিবকুমার জানতেন না ওই ব্যক্তির নাম বিপিন রাওয়াত। দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক।
তিন ঘণ্টা পর এক উদ্ধারকর্মী জানালেন ওই ব্যক্তির নাম। জানার পর আক্ষেপে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছেন শিবকুমার। রাতে ঘুম হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না, যে মানুষটা দেশের জন্য এত করলেন তিনি শেষ বেলায় এক ফোঁটা পানিও পেলেন না। ভেবে সারারাত ঘুমতে পারিনি।’
এর আগে, বুধবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে তামিলনাড়ুর নীলগিরি হিলস এলাকায় একটি চা বাগানে ভেঙে পড়ে সেনার এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী। কপ্টারটি ভেঙে পড়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়। এর ভেতরে ১৪ জন যাত্রীর মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে মারা যান সেনা সর্বাধিনায়ক। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান তার স্ত্রী মধুলিকা। আনন্দবাজার
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১০ ডিসেম্বর, ২০২১)