দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের কারণে আটকে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

ডিপিই সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলমান থাকায় ডিসেম্বরে পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হবে না। তাই এইচএসসি পরীক্ষা শেষে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সূত্র আরও জানায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কাজ করতে ডিপিইকে নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে প্রার্থীদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র দিয়ে দেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন আমরা শুধু প্রবেশপত্রগুলো দেব আর পরীক্ষাগুলো নেব।

তথ্যমতে, গত বছর অক্টোবরের শেষ দিকে প্রাথমিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়। আবেদনগ্রহণ শেষ হয় ২৪ নভেম্বর রাতে। এতে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। ফলে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৪০ জন।

মোট ৩২ হাজার ৭৭টি শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়ােগ দেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১০ ডিসেম্বর, ২০২১)