শহিদুল আলমের রিট খারিজ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কার্যক্রমের বৈধতা এবং বাতিল চেয়ে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কাজ চলবে।
নির্ধারিত দিনে আজ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহিদুলের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
এর আগে রবিবার (১২ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই রায়। আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ মামলটির তদন্ত কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট শহিদুল আলমকে বাসা থেকে নেওয়ার পর ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় পরের দিন তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। একইদিন সিএমএম আদালতে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। পরে একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস।
এর পর ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি। ৩ অক্টোবর এ জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয় এবং ৭ অক্টোবর রুল জারি করেন। সেই রুল মঞ্জুর করে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শহিদুল আলম আল-জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন। ওই ঘটনায় রমনা থানার তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
২০১৮ সালের ৬ আগস্ট ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় ১২ আগস্ট শহিদুল আলমকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১)