দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আঞ্চলিক করিডোরের উন্নয়নে আরও ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে এডিবি। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে এই অর্থায়নের পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এডিবির সদস্যভুক্ত ৬৮টি দেশ এ সহজ শর্তের ঋণ ব্যবহার করে আঞ্চলিক করিডোর উন্নয়ন করেছে। কনসেশনাল এ ঋণে সুদের হার ২ শতাংশ। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ওই ঋণ ব্যবহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এডিবির স্বাধীন মূল্যায়ন বিভাগ (আইইডি) থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এডিবি আঞ্চলিক অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কো-ফাইন্যান্সিং করবে প্রতিষ্ঠানটি।

গ্রেটার মেকং সাবরিজিয়ন (জিএমএস) প্রোগ্রামের আওতায় এডিবি সাবরিজিওনাল করিডোরে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে। কর্মসূচির আওতায় এর আগে ২০১২ থেকে ২০২০ সাল মেয়াদে ১৩০ প্রকল্পে ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছিল এডিবি। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ চার লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা। উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ আরও প্রসারিত করতে নানা ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপও প্রচারও করছে সংস্থাটি।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এডিবির প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রোগ্রামটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জিএমএস কর্মসূচির আওতায় এডিবিভুক্ত দেশগুলোতে ১৩০টি বেশি প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়েছে। যার পরিমাণ ছিল ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে উপ-অঞ্চলের অর্থনৈতিক করিডোরগুলিতে অবকাঠামো অনেক উন্নত হয়েছে। নতুন ৮ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নে আরও উন্নত হবে অর্থনৈতিক করিডোরগুলো।

এডিবির কার্যক্রম দেশ পর্যায়ে ভালো পারফর্ম করেছে। উপ-আঞ্চলিক পর্যায়ে কার্যক্রমের ফলাফল আরও ইতিবাচক। সড়ক নেটওয়ার্ক, পর্যটন এবং সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে জোরালো অবদান রাখছে এডিবি। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে বাজার সংহতকরণ, উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারমূল্য এবং পরিবেশগত অবস্থার উন্নতি সেই তুলনায় কম হয়েছে। তাই নতুন করে এসব খাতে আরো নজর দেবে এডিবি।

এডিবির আইইডি মহাপরিচালক ইমানুয়েল জিমেনেজ বলেন, জিএমএস প্রোগ্রাম দেখিয়েছে কিভাবে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা উন্নত করা যায়। সমবেতভাবে এই কর্মসূচির সুবিধা নিতে পারে দেশগুলো। আঞ্চলিক করিডোরে উভয় দেশ লাভবান হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১)