দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মিরপুর শেরেবাংলার নিম্নমানের উইকেটে প্রস্তুতি নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশ দলের। তবু টনক নড়েনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। বোর্ড কর্তারা বড় বড় বুলি আওড়ালেও সেই প্রশ্নবিদ্ধ পিচেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করেছেন।

তবে রমিজ রাজার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) যে কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী—সেটির ঝলক দেখিয়েই চলেছে। গত সেপ্টেম্বরে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েই আমূল পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলেন রমিজ। তার পরিচালনায় বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিরা মাঠে আলো ছড়াচ্ছেন। ক্রিকেটের উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষক-বিনিয়োগকারীরাও তাই পিসিবির পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

এবার যেমন ভালো পিচ তৈরিতে পিসিবির সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে আরিফ হাবিব গ্রুপ। দুটি ড্রপ-ইন পিচ তৈরিতে কোম্পানিটির কর্ণধার আরিফ হাবিব রমিজের বোর্ডকে ৩৭ কোটি পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ১৮ কোটি টাকা) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত রাতে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠানে এ ব্যাপারে দুই পক্ষের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

উপমহাদেশের দলগুলোর গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে মানিয়ে নেওয়ার সমস্যা দীর্ঘ দিনের। বিশেষ করে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাড়তি বাউন্স ও গতির কারণে সমস্যায় পড়েন উপমহাদেশের ব্যাটাররা। এ সমস্যা দূর করতে ড্রপ-ইন পিচ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি।

ড্রপ-ইন পিচ বলতে বোঝায়, বাইরে থেকে পছন্দমতো চরিত্রের উইকেট বানিয়ে যেকোনো জায়গায় বসিয়ে দেওয়া। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানেও দ্রুতগতির উইকেট পাওয়া সম্ভব।

চুক্তি অনুযায়ী, আরিফ হাবিব গ্রুপ পিচ দুটি স্থাপন করবে করাচির নয়া নাজিমাবাদ স্টেডিয়ামে ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায়। আগামী বছরেই কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী পিসিবি।

পিসিবি প্রধান রমিজ বলেছেন, ‘ড্রপ-ইন পিচে খেলার সুযোগ পেলে আমাদের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়েরা নিশ্চিতভাবেই লাভবান হবে। প্রতিভা ও যোগ্যতা সত্ত্বেও আমরা বছরের পর বছর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে সংগ্রাম করি। আশা করি ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না। আমাদের পাশে দাঁড়ানোয় আরিফ হাবিব সাহেবকে ধন্যবাদ।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১)