নতুন বছরের প্রথম দিনেই বই উৎসব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এখনো মাধ্যমিকের পাঁচ কোটি বই ছাপানো বাকি। তারপরও বরাবরের মতোই বছরের প্রথম দিনেই কোটি শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাবে বলে আশাবাদী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এবার মাধ্যমিকে প্রায় ২৫ আর প্রাথমিকের মোট ১০ কোটি বই ছাপা হচ্ছে।
তাই ছাপাখানায় ব্যস্ততা এখন ২৪ ঘন্টার। কাগজের উপর গোটা ছাপার লেখা, বাধাই, তারপর রঙ্গিন মলাট লাগানো বইগুলো পৌঁছে যাবে দেশের কোটি শিক্ষার্থীর হাতে।
হাতে আছে মাত্র ১০ দিন। এই সময়ের মধ্যেই ছাপতে হবে প্রাথমিক আর মাধ্যমিক পর্যায়ের কমপক্ষে ৩৫ কোটি বই। এই জন্য ধুম তালে চলছে বই ছাপার কাজ।
যা নতুন বছরের প্রথম দিন তুলে দেয়া হবে সারাদেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে। নতুন বছরের নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
মুদ্রনশিল্প সমিতি বলছে, এবার একাধিক দরপত্র আর দেরিতে কাজ পাওয়ায় অষ্টম আর নবম শ্রেনীর বই দেয়ার সবশেষ সময় ৩১ জানুয়ারি।
ষষ্ঠ আর সপ্তম শ্রেনীর বইয়ের জন্য ২২ জানুয়ারি। নির্ধারিত এই সময়ে বই দেয়া কি সম্ভব হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, ‘কঠিন অবস্থার মধ্যে আছি। তবে ১ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের প্রায় ৭০ শতাংশ বই উপজেলাগুলোতে পৌঁছে যাবে’।
তবে নতুন বছর শুরু হতে মাত্র ১০ দিন বাকি থাকলেও এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু দেখছেন না চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্রসহ এনসিটিবির সদস্য ফরহাদুল ইসলাম।
তিনি জানান, প্রাথমিকের বই পৌঁছে গেছে। মাধ্যমিকের ২০ কোটি বই ছাপানোর কাজ শেষ। প্রশ্নের জবাবে জানান সক্ষমতা নেই এমন কোন প্রতিষ্ঠানকেই কাজ দেওয়া হয়নি।
২০১০ সাল থেকে বিনামূল্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পাঠ্যবই বিতরণ শুরুর পর থেকে নতুন বছরের শুরুর দিনে প্রায় সব বই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে সরকার।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২১ ডিসেম্বর, ২০২১)