দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কক্সবাজারসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে মানুষ মাস্ক না পরায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ মাস্ক না পরেই ভিড় করছেন, রাজনৈতিক সমাবেশেও মাস্ক পড়ছে না মানুষ। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ সবাইকে দিতে সুরক্ষা অ্যাপের আপডেট করা হচ্ছে। কিছু সংশোধন করা হচ্ছে। এখন সীমিত আকারে দেওয়া হচ্ছে ডাক্তার-নার্সসহ ফ্রন্টলাইনারদের। টিকা গ্রহণের কার্ড নিয়ে ষাটোর্ধ ও ফ্রন্টলাইনাররা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। এ পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ মানুষকে। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৩৫ শতাংশ মানুষকে।

তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকা কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৭ কোটি, যা শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি, শতকরা হিসাবে তা ৩০ ভাগ। সরকারের টার্গেট ১২ থেকে ১৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া। এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৩০ ভাগ মানুষকে।

জাহিদ মালেক বলেন, ওমিক্রন বিশ্বের ৯০টি দেশে ছড়িয়ে গেছে। আমাদের দেশেও ধরা পড়েছে। কিন্তু মানুষ মাস্ক পরছে না এবং স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না। এ জন্য ওমিক্রন বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকার। সারাদেশের মানুষ যাতে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, এ জন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও বলেন, ‘মালদ্বীপ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার-নার্স নেবে তারা।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২১ ডিসেম্বর, ২০২১)