সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন: নিহতদের পরিবার পাবে ২৫ হাজার টাকা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেবে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক। বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে ৭৫ জন ও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ১৫ জন যাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া শেবাচিমে গুরুতর আহতদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
মর্মান্তিক এ ঘটনার পর বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘লঞ্চটি যেহেতু বরগুনার দিকে আসছিল, আমরা ধারণা করছি, অধিকাংশ যাত্রীর বাড়ি বরগুনাতেই হবে। মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পর আমরা নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের সুচিকিৎসার জন্য ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি জেলা প্রশাসন থেকে।’
আহতরা জানিয়েছেন, লঞ্চটি বরগুনা যাচ্ছিল। এ সময় যাত্রীদের বেশিরভাগই ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠি লঞ্চঘাটের কাছাকাছি পৌঁছালে লঞ্চের স্টাফরা ঝালকাঠির যাত্রীদের ঘাটে নামার জন্য ডাকতে থাকেন। এরইমধ্যে হঠাৎ করেই আগুন দেখতে পেয়ে দিকবিদিক ছুটতে শুরু করে যাত্রীরা। এ সময় কেউ কেউ ঝাপিয়ে নদীতে পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে সাত সদস্য, বিআইডব্লিউটিএ-র পক্ষ থেকে ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ নিতে বরিশালের শেবাচিম হাসপাতালে রয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১)