দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশে নতুন করে আরো চার জন করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৭ জনের দেহে এই ধরনটি শনাক্ত হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে সরকার লকডাউনের পরিকল্পনা নিয়ে কিছু ভাবছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বুধবার রাজধানীর একটি টিকাকেন্দ্রে বুস্টার ডোজ নিতে এসে একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, দেশে করোনা ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো ২৫ লাখ ফাইজারের টিকা আসছে। তবে শুধু তা নিয়েই মহামারি প্রতিরোধ করা যাবে না। টিকাদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার থেকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন জানান, গত কিছুদিনে ওমিক্রনের কারণে বিশ্বে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আমাদের দেশে কিছু পরিমাণে ওমিক্রন পাওয়া গেছে। ওমিক্রনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে টিকা নিতে হবে ও মাস্ক পরতে হবে।

তিনি আরো জানান, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়েও কথা বলা হয়েছে, যাতে সেসব এলাকার রিকশাচালক থেকে শুরু করে সবাই টিকা নেন।

লোকমান হোসেন জানান, বাংলাদেশ টিকা উৎপাদন করে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা দেশের সবাইকে টিকা দিতে পারছি।

এর আগে, ১৯ ডিসেম্বর করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে দেশে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়। ঐদিন রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএসএ) কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ওই সময় স্বাস্থমন্ত্রী বলেছিলেন, টিকা নিবন্ধনের প্ল্যাটফর্ম ‘সুরক্ষা’য় বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত তথ্য ২৮ ডিসেম্বরের আগে প্রস্তুত হচ্ছে না। তবে ‘সুরক্ষ’ প্ল্যাটফর্মে আপডেট তথ্য না এলেও দেশে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১)