গীতিকার রাসেলের ঝুলন্ত লাশ : সুইসাইড নোটে যা আছে
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: গীতিকার রাসেল ও’নীলের (মেহবুবুল হাসান রাসেল, ৪৭) ঝুলন্ত মরদেহের পাশ থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুইসাইড নোটের সত্যতার পাশাপাশি আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আবুল কালাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার লিচুবাগান এলাকার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাতের খাবার খেয়ে রাসেল তার কক্ষে যান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভাঙেন। পরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত নিথর মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা পুলিশে খবর দেন।
‘দিন বাড়ি যায়, চড়ে পাখির ডানায়’-এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা রাসেল একসময় সাংবাদিকতায়ও যুক্ত ছিলেন। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় যুক্ত হন। গানের পাশাপাশি অসংখ্য বিজ্ঞাপনের জিংগেলও লিখেছেন তিনি। তার লেখা অধিকাংশ গানই দলছুট এবং বাপ্পা মজুমদারের গাওয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, বাসাটিতে রাসেলের সঙ্গে তার মা ও ছোট ভাইও থাকেন। গেল প্রায় দেড় বছর ধরে রাসেল চাকরিহীন ছিলেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর রাসেলের কক্ষে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিশ। সুইসাইট নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ী নয়। আমি স্বেচ্ছায় আত্মহনন করলাম। এর সঙ্গে কাউকে যুক্ত করা যাবে না।‘ মরদেহের পোস্টমর্টেম না করার কথা উল্লেখ করে সুইসাইড নোটে লিখে স্বাক্ষরও করেছেন রাসেল ও’নীল।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি কাজী আবুল কালাম গণমাধ্যমে জানান, আমাদের ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সুইসাইড নোটের হাতের লেখা রাসেলের বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন তার পরিজন ও বন্ধুরা। তবে এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। আর কী এমন হতাশা ছিল যে কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন; সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, মরদেহটি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১)