দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: থার্টি ফার্স্ট উদযাপনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছে। সারাদিন সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের খুব বেশি দেখা না মিললেও শুক্রবার রাত ১১টার পর থেকে সমুদ্র সৈকত এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। রাত ১২টা বাজতেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে সৈকতে নেমে পড়েন পর্যটকরা। বিশেষ করে লাবণী ও সুগন্ধা সৈকতসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আতশবাজি, ফানুস উড়িয়ে পুরনো বছরকে বিদায় ও ২০২২ সালকে স্বাগত জানান তারা। এ সময় মুহুর্মুহু আতশবাজির শব্দে প্রকম্পিত হয় সমুদ্র সৈকত এলাকা। আকাশে দেখা যায় আলোর ঝলকানি।

এদিকে, ইংরেজি বছর বরণকে ঘিরে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর দায়িত্বপালন করতে দেখা গেছে। শুক্রবার বিকাল থেকে সমুদ্র সৈকতসহ শহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন পুলিশ, র‍্যাব, গোয়েন্দা ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্ট ও কলাতলী মোড়সহ প্রতিটি প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর সিপিসি কমান্ডার শেখ ইউছুপ আহমেদের নেতৃত্বে শতাধিক সদস্য ব্লক রেইড অভিযান পরিচালনা করেন।

শেখ ইউছুপ আহমেদ বলেন, থার্টি ফার্স্ট উদযাপন উপলক্ষে র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। যাতে পর্যটকরা কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি না হন। আমাদের টহল সকাল পর্যন্ত চলবে।

সরেজমিনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাবণী পয়েন্টে দেখা যায়, ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করছেন। পাশাপাশি সৈকতের প্রবেশ মুখে বসিয়েছে তল্লাশি চৌকি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যদের কঠোর দায়িত্বপালন করতে দেখা গেছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, থার্টি ফার্স্ট উদযাপন উপলক্ষে পর্যটকসহ সবার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। যাতে কোনও অপরাধী চক্রের সদস্যরা সৈকতে প্রবেশ করতে না পারে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া শহরের মোড়ে মোড়ে দায়িত্বপালন করছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। তাদেরকেও বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করতে দেখা যায়। তবে এখন পর্যন্ত কোনও পর্যটক কোনও বিষয়ে অভিযোগ করেননি।

কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় শহরে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি টমটম, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা তল্লাশির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে পর্যটকদের তল্লাশি করা হয়নি। তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। আশা করছি, কোনও ধরনের সমস্যা হবে না পর্যটকদের।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০১ জানুয়ারি, ২০২২)