দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনের শুরুতে মাত্র ৭০ রানে নিউজিল্যান্ডের ৫ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও দারুণ দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দিনেও আঁটসাঁট বোলিংয়ে কিউইদের লাগামছাড়া হতে দেননি শরিফুলরা। ৬৪ রান করে নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরলেও ৭০ রানে ক্রিজে আছেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয়। তার সঙ্গে ৮ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন মুমিনুল হক।

এর আগে সাদমান আউট হয়েছেন ২২ রানে। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান। নিউজিল্যান্ড থেকে এখনো পিছিয়ে আছে ১৫৩ রান। এর আগে ২৫৮ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল কিউইরা, তারা অলআউট হয় ৩২৮ রানে।

সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ডে খেলতে গেলে সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ থাকে ওয়াগনারের একের পর এক বুক বরাবর আসা বাউন্সার। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকাররা তার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের পথকেই বেছে নিয়েছিলেন আগের সফরগুলোয়।

তবে জয় হেঁটেছেন ভিন্ন পথে। ওয়াগনারের বাউন্সারে আক্রমণাত্মক খেলার বদলে সোজা ব্যাটে ডিফেন্স করে গেছেন প্রায় পুরোটা সময়। বিশেষ করে শান্ত সাজঘরে ফেরার পর শেষ বিকেলে ওয়াগনারের ১৮ বল খেলে ১ রান করেছেন জয়।

শুধু ওয়াগনার নয়, নিউজিল্যান্ডের অন্যান্য বোলারদের বিপক্ষে চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন এ ২১ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার। জেমিসনের রাইজিং ডেলিভারি কিংবা বোল্ট-সাউদির সুইং, দারুণভাবে মোকাবিলা করে পুরো ৬৭ ওভারে উইকেটে কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি।

যার সুবাদে বাংলাদেশের প্রথম ওপেনার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইনিংসে ২০০'র বেশি বল খেলার রেকর্ড গড়লেন জয়। এর আগে ২০০৮ সালে জুনায়েদ সিদ্দিকী খেলেছিলেন সর্বোচ্চ ১৪৪ রান। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে আপাতত ২১১ বল খেলে অপরাজিত রয়েছেন জয়।

বাংলাদেশের ইনিংসের ৫৩তম ওভারের চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে মাইলফলকে পৌঁছান জয়। যা করতে তিনি খেলেন ১৬৫ বল। যুব ওয়ানডেতে চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন জয়, সবকয়টিই দেশের বাইরে। এর মধ্যে একটি ছিল শুধু শ্রীলঙ্কায়। বাকি তিনটি ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডে একটি ৯৯ রানের ইনিংসও আছে তার।

এতেই বোঝা যায়, দ্রুতগতির উইকেটেই তুলনামূলক ভালো খেলেন এ তরুণ ডানহাতি। এমনকি চলতি সফরের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জয়। যা তাকে দেয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস। আর এতে ভর করেই কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই খেলছেন ঝকঝকে ইনিংস।

ইনিংস সূচনা করতে নেমে জয় শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও দিন শেষ হওয়ার মিনিট ত্রিশেক আগে ওয়াগনারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে ইনিংসের ৫১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দৃষ্টিনন্দন এক স্লগ সুইপে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে নতুন বছরে বাংলাদেশের প্রথম হাফসেঞ্চুরিয়ান হয়ে যান শান্ত।

ওয়াগনারের বলে গালিতে ধরা পড়ার সময় শান্তর নামের পাশে ছিল ১০৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ের মারে ৬৪ রানের ইনিংস। তার আগে বাংলাদেশের ইনিংসের ১৯তম ওভারে দলীয় ৪৩ রানে ওয়াগনারের প্রথম শিকারে পরিণত হন ২২ রান করা সাদমান ইসলাম অনিক।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০২ জানুয়ারি, ২০২২)