দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখাসহ নানা অভিযোগের মামলায় সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির ৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

সোমবার দেশটির একটি আদালত এ রায় ঘোষণা করে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

এর আগে ৬ ডিসেম্বর ‘গণ-অসন্তোষে’ উসকানি ও করোনাভাইরাসের আইন ভাঙার দায়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইনে সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন আদালত।

ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে দেশটির জান্তা সরকার বিভিন্ন অভিযোগে এক ডজনের বেশি মামলা করেছে। যদিও সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী সু চির বিরুদ্ধে ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন, দুর্নীতি, প্রতারণা, করোনাভাইরাস মহামারিকালীন বিধিনিষেধ উপেক্ষা, অবৈধ ওয়াকিটকি আমদানিসহ নানা অভিযোগ তুলেছে। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে হেলিকপ্টার কেনা ও ভাড়া দেয়ায় দুর্নীতির অভিযোগও আনা হয়।

গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী; আটক করে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তসহ অনেককে।

তাদের গ্রেফতারের পর থেকেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে নজিরবিহীন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মিয়ানমার। বিক্ষোভ দমনে কঠোর হয় সেনাবাহিনী।

দেশটিতে ১ হাজার ২০০-এর বেশি মানুষকে হত্যা এবং ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০ জানুয়ারি, ২০২২)