দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বগুড়ায় তিন বছর আগে ছাত্রী ধর্ষণ এবং ওই মেয়ে ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ১০ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় বগুড়া কারাগার থেকে বের হন তিনি।

এর আগে একাধিক মামলায় জামিন হলেও ভিন্ন মামলায় শোনঅ্যারেস্টে থাকার কারণে তার মুক্তি মেলেনি।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, গত ১০ জানুয়ারি তুফান সরকারের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে। এরপর সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কারাগার থেকে সে মুক্তি পায়।

জানা গেছে, তুফান সরকারের বিরুদ্ধে মোট আটটি মামলা চলমান ছিলো। এরমধ্যে আলোচিত ছাত্রী ধর্ষণ এবং মাথা ন্যাড়ার মামলাটি বাদী পক্ষ আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ মামলা করার অভিযোগ এনে এফিডেফিট করেন। এ কারণে অনেক আগেই আলোচিত এ মামলায় তুফান সরকারের জামিন হয়। এরপরও অন্যান্য মামলা থাকায় দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর কারাগারে ছিলেন।

সর্বশেষ মানিলন্ডারিং আইনে করা এক মামলার শুনানি শেষে হাইর্কোট গত ৫ জানুয়ারি তুফান সরকারের জামিন দেন। এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নথিপত্র গত ১০ জানুয়ারি বগুড়া কারাগারে পৌঁছায়। পরে ওই দিনই কারাগার থেকে বের হন তুফান সরকার।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই সদর থানায় করা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে যান তিনি।

কারাগার সূত্র জানায়, তুফানের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো হলো জিআর ৮৭৫/২০২২ (মানিলন্ডারিং), জিআর ২৪৭/২৪৮/২০১৮ (নারী ও শিশু নির্যাতন), জিআর ১৫৬৫/২০১৮ (দুদক আইন), জিআর ৭/২০১৮ (দুদক), জিআর ১০০৫/১৩, জিআর ৯৮/১৬, জিআর ৮২৭/১৫ এবং জিআর ১৯৬/১২।

তুফান সরকারের বড় ভাই বগুড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সরকার বলেন, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে তুফান বাড়িতে রয়েছে। তার সঙ্গে অনেক অন্যায় করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আদালত যা রায় দেবেন সেটাই মেনে নেবো।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬ জানুয়ারি, ২০২২)