দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুজহাত ইয়াসমিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ও শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন আঁতাত করে একপক্ষকে সুবিধা দিয়েছেন।

এ ছাড়া শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) এফডিসিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৭ সংগঠনের সদস্যদের ঢুকতে না দেওয়ায় এফডিসির এমডিকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পীরজাদা হারুনকে সিনেমা ও নাটক থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নুজহাত ইয়াসমিন। এফডিসিতে আজ রবিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পীরজাদা হারুনের সঙ্গে আমার আঁতাত করার প্রয়োজন নেই। আমার সঙ্গেও তার আঁতাত করার কোনো প্রয়োজন নেই। যারা এসব কথা বলছেন সেগুলো প্রমাণ করার দায়িত্বও তাদের। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের করোনাভাইরাস বিষয়ক নির্দেশনা মেনে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। আমার মনে হয়, আমি কোনো অন্যায় করিনি।

নুজহাত বলেন, এফডিসির পাস হাজারও মানুষের কাছে আছে। কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, গণজমায়েত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া দুই পরিষদ চাইলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে সঠিক জায়গায় বিষয়টি উপস্থাপন করে সমাধান করতে পারতেন বলেও জানান এফডিসির এমডি।

এদিকে নুজহাত ইয়াসমীনকে এফডিসির এমডির পদ থেকে অপসারণের জন্য নানা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ১৭ সংগঠন। তা না হলে, কর্ম বিরতিতে যাওয়া এবং এফডিসিতে অচল অবস্থা তৈরিরও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/৩০ জানুয়ারি, ২০২২)