দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দিন দিন রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনার পারদ শুধু বাড়ছেই। ইউক্রেনে হামলা হলে রাশিয়াকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে মার্কিন সেনারা প্রস্তুত বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

একই সুরে কথা বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারাও। তবে চলমান উত্তেজনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে ক্রেমলিন বলছে, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে ওয়াশিংটন।

ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে সোমবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এসময় বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রুশ প্রতিনিধি।

পূর্ব ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনগুলো তুষারে ঢাকা। তীব্র শীত আর বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই অতন্দ্রপ্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করছেন ইউক্রেনের সেনারা। মোতায়েন করা হয়েছে ভারী অস্ত্র। সীমান্তে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা।

ইউক্রেনের এক সৈনিক বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। তবে এখানে তারা লুকিয়ে আছে। তারা ভীত। কিছু গাড়ি আসছে কিছু গাড়ি যাচ্ছে। তারা সবসময় সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে একটা কিছু হতে পারে।

আরেক সেনা বলেন, শত্রুরা প্রতিনিয়ত তাদের অবস্থা বদলাচ্ছে। তারা আমাদের সক্ষমতার পরীক্ষা করতে পারে। তবে আমরা সেই সুযোগ দেবো না।

দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এসময় চলমান সঙ্কটের জন্য একে অপরের দোষারোপ করে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন। এসময় জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের স্থায়ী প্রতিনিধি সের্গেই কিসলেসতি বলেন, কোনো ধরনের আগ্রাসন চললে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে রাশিয়াকে।

তিনি জানান, রাশিয়া বলছে যুদ্ধ চায় না। কিন্তু তাদের পদক্ষেপ সেটি প্রমাণ করে না। রাশিয়া কেন সীমান্তে সেনা জড়ো করেছে তার জবাব দিতে হবে। তাদের কার্যক্রম শান্তির বার্তা দেয় না।

একইদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কিয়েভ সফরে যান ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল। পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে দলটি।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। রাশিয়া হামলা চালালে ইউক্রেনের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মস্কোর আগ্রাসন ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী।

পশ্চিমা দেশগুলোর হুমকি উড়িয়ে দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে ক্রেমলিন বলেছ, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক উপস্থিতি জোরদারের কারণে বাধ্য হয়ে সীমান্তে সেনা উপস্থিতি জোরদার করেছে রাশিয়া।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)