দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারের কনডেম সেলে। একই মামলার প্রধান আসামি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে ফাঁসি ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় খালাস পেয়েছেন সাতজন।

এদিকে, প্রদীপকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই কোনো হদিস মিলছে না তার স্ত্রী চুমকি কারণের।

প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি চুমকি। এ মামলায় দ্বিতীয় আসামি প্রদীপ। ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান চুমকি। তিনি যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠিও দেয় দুদক। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো হদিস মিলছে না চুমকির।

জানা গেছে, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন প্রদীপ। এই সময়ে দেখা পাননি স্ত্রী-সন্তানের।

এদিকে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা চট্টগ্রামের বাড়িসহ সব সম্পত্তি আদালতের নির্দেশে ক্রোক করেছে প্রশাসন।

প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার বাদী দুদক চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রদীপের স্ত্রী চুমকি পলাতক রয়েছেন। চুমকি যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে দাফতরিক চিঠি দিয়েছে দুদক। তবে এর আগেই তিনি দেশ ছেড়েছেন কিনা এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই দুদকের কাছে।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট মামলাটি করেন রিয়াজ উদ্দিন। পরে গত বছরের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত।

এ মামলার পর থেকেই লাপাত্তা প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় নিজেদের গড়ে তোলা ‘লক্ষ্মী কুঞ্জ’ নামে বাড়িটিতে সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি। সেই বাড়িতেও মেলেনি তার সন্ধান। স্থানীয়রা বলছেন, প্রদীপ গ্রেপ্তারের পর থেকেই বাড়িটিতে থাকছেন না চুমকি। তবে কোথায় থাকেন জানেন না কেউ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)