'বিএসইসি ডিএসইসিএর অবহেলা, বিনিয়োগকারীরা আজ পথে'
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে ক্রয়বিক্রয়ের এসএমএস এবং মেইলের মাধ্যমে বাজারের আপডেট দিয়ে আসছিল তামহা সিকিউরিটিজ, এমনটা অভিযোগ করেন তামহা সিকিউরিটিজের জালিয়াতির অভিযোগ করা বিনিয়োগকারীঅরা। পরবর্তীতে সিডিএম এ যোগাযোগের মাধ্যমে তারস জানতে পারে তাদের বিও হিসাবে কোন টাকা নেই যদিও ডুপ্লিকেট সফটওয়্যার ব্যবহার করে তাদের একাউন্টে শেয়ার দেখিয়ে আসছিল সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার রাজধানীর বিজয়নগরে সিএমজিএফ অডিটরিয়াম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা এসব অভিযোগ করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারিদের পক্ষে ফখরুল ইসলাম নামের এক বিনিয়োগকারী আরও অভিযোগ করেন সিডিবিএল মোবাইল নম্বর বিনিয়োগকারিদের অনুমতি ছাড়া কিভাবে পরিবর্তন করলো এটি তাদের প্রশ্ন।মোবাইল নম্বর পরিবর্তনের সময় তাদের জানানো উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মজিবুর রহমান নামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মচারী অভিযোগ করেন রিটায়ারমেন্টের পরে পেনশন তহবিল হতে প্রাপ্ত ১৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন যা হারিয়ে এখন পথে বসার উপক্রম। ঘরে প্রতিবন্ধি মেয়ে, অসুস্থ স্ত্রী।বাজার করার অবস্থা পর্যন্ত নেই বলে আক্ষেপ করেন তিনি। দুইশ বিনিয়োগকারির সকলেরই এই দুর্দশা বলে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা।
তামহা সিকিউরিটিজের সাথে বিনিয়োগকারিদের সর্বশেষ যোগাযোগ কবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ফকরুল ইসলাম বলেন সর্বশেষ ১ মাস আগে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছিল তারা। ১৫ দিনের কথা বলে প্রায় ২ মাস তাদের ঘুরাচ্ছে তামহা সিকিউরিটিজ, এমনটাই বলেন বিনিয়োগকারিরা। তাদের প্রশ্ন বিএসইসি কিভাবে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলো।
এই ব্যাপারে বিএসইসি এর কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিমের সাথে কথা হয়েছে। কমিশনার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত দেবার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বিনিয়োগকারিরা।
সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্ন থাকে বিনিয়োগকারিদের কাছে। জবাব বলেন তাদের আর্থিক সংকট এতটাই মামলা লড়বার মতো আর্থিক অবস্থা তাদের নেই।
বিএসইসি এর অন্য যেকোন উন্নয়নমূলক কাজের থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্থের নিরাপত্তার ব্যাপারটিতে জোর দেয়ার দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারিদের একটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বিএসইসি চেয়ারম্যনের হস্তক্ষেপে তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দ্রুত ফেরত পাবেন।
উল্লেখ্য গত ২৯ নভেম্বর ২০২১ এ সিকিউরিটিজ হাউজটির ট্রেড স্থগিত করে দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ আ্যন্ড কমিশন। একই সাথে বিনিয়োগকারিদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তামহা সিকিউরিটিজ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ হারুনুর রশিদ ও তার সহযোগিদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএফআইইউ গত ৫ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)