দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মরক্কোয় ১০০ ফুটের বেশি গভীর কুয়োতে আটকে পড়েছে পাঁচ বছরের এক শিশু। চারদিন আগে পড়লেও তাকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শিশুটিকে নিরাপদে তুলে আনতে তৎপর উদ্ধারকারী দল। দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে উদ্ধারকাজ।

সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের তথ্যানুযায়ী, মরক্কোর শিশাওয়েন এলাকার উত্তরে পাহাড়ের ধারে অবস্থিত কুয়োটি বেশ গভীর। কুয়োর একেবারে তলদেশে শিশুটি আটকে পড়ায় অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে।

চার বছর বয়সী শিশুটির নাম রায়ান। সে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে মরক্কোর চেফচাওয়েন প্রদেশের ইঘরান গ্রামে নিজেদের বাড়ির কাছে একটি গভীর কুয়ায় পড়ে যায়।

জানা গেছে, কুয়ার মুখ খোলা থাকায় শিশুটি পড়ে গিয়েছিল। রায়ানের বাবা জানিয়েছেন, তিনি কুয়া মেরামত করছিলেন। এসময় ছেলে তার সঙ্গে ছিল। তিনি বলেন, রায়ান ঠিক আমার পাশেই ছিল। সে যে কখন পড়ে গেছে, বুঝতেই পারেননি।

৩২ মিটার গভীর কুয়োটির উপরিভাগের ব্যাস ১৮ ইঞ্চি (৪৫ সেমি)। ধীরে ধীরে তলদেশের দিকে কুয়োটি একেবারে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তাই শিশুটিকে ফিরিয়ে আনতে উদ্ধারকারীরা কেউ নামতে পারছেন না।

হাড়হিম করা ঠান্ডায় গভীর কুয়োয় রয়েছে শিশুটি। তার কাছে পৌছে দেওয়া হয়েছে খাবার। তবে সে খাবার আদৌ খেতে পেরেছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। নলের মাধ্যমে তার কাছে অক্সিজেন ও জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুলডোজারের মাধ্যমে পাহাড়ের দিকে একটি পরিখার মতো অংশ কাটা হয়েছে। কুয়োর পাশেই কাটা হয়েছে এই গর্ত৷ স্থানীয় রিপোর্ট বলছে, উদ্ধারকারীরা এখন কুয়োর সমান গভীরতায় পৌঁছে যাওয়ার অপেক্ষায়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে একথা জানিয়েছেন। উদ্ধারকারী দলের একজন শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সবচেয়ে জটিল উদ্ধার পদক্ষেপের প্রস্তুতি চলছে। আমাদের অনুভূমিকভাবে তিন থেকে পাঁচ মিটার খনন করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)