শেয়ারবাজারে বন্ড ছেড়ে মার্কেট হবে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীতে মার্কেট নির্মানের জন্য মিউনিসিপাল (মুনি) বন্ড ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে এক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের উদ্যেগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন কোম্পানি (আইআইএফসি)।
কোম্পানিটি গুলশান-২ এলাকায় প্রস্তাবিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেট নির্মাণের জন্য এ মুনি বন্ড ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে বলে বিএসইসি সুত্রে জানা গেছে। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে দেশে প্রথম মুনি বন্ড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবে।
জানাগেছে , রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় তিন একর জমিতে ডিএনসিসি মার্কেট নির্মাণের একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে মার্কেট নির্মাণের নকশা অনুমোদন করা হয়েছে। মার্কেট নির্মাণে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে আইআইএফসি।
এর মধ্যে অধিকাংশ টাকা মুনি বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে তারা। শীঘ্রই এ বিষয়ে কাজ শুরু করার তাগিদ দিয়েছে কমিশন।
এ বিষয়টি নিয়ে বিএসইসি’র বেশ আগ্রহ রয়েছে। ডিএনসিসি মার্কেট নির্মাণে মুনি বন্ড ইস্যুর বিষয়টি ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এলজিইডি অনুমোদন করেছে। গত এক-দুই বছর ধরে এ বিষয়ে কাজ করছে আইআইএফসি।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিএসইসি’র সঙ্গে আইআইএফসি’র প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি’র কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইআইএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন পাটওয়ারী। এছাড়া ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার এ বিষয়ে বিএসইসি’র কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান , পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেসব বড় বড় ইনফ্রাস্ট্রাকচার নির্মাণ করা হয়েছে তার অধিকাংশই মিউনিসিপাল বন্ডের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোন বন্ড ইস্যু করা হয়নি। তাই এ ধরনের প্রথম বন্ড অনুমোদন দিয়ে আমরা শুরু করতে চাচ্ছি। মিউনিসিপাল বন্ড হলো আসল প্রাইমারি বন্ড।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজধানীর গুলশান- ২ এলাকায় ৩ একর জমির উপর এ মার্কেট নির্মাণ করা হবে। সেখানে সকল সুবিধা থাকবে। বিশেষ করে কনফারেন্স সেন্টার মিটিং সেন্টার শপিং মল ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা থাকবে। এ জন্য আমরা বেশ আগ্রহী।’
প্রসঙ্গত, মুনি বন্ড হলো রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জারি করা ডেবট সিকিউরিটিজ। এ বন্ড থেকে সংগৃহিত অর্থ দেশের হাইওয়ে, ব্রিজ, স্কুল নির্মাণসহ রাষ্ট্রীয় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়। এ বন্ডের মাধ্যমে সরকার দেশের জনগণের কাছ থেকে ঋণ সংগ্রহ করে। মুনি বন্ডের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই ফেডারেল ট্যাক্স এবং বেশিরভাগ সময় রাষ্ট্র ও স্থানীয় কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এতে করে বন্ডটি উচ্চ আয়কর দেয় এমন সংখ্যাক জনগণের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তুলবে।
দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/ ৭ ফেব্রুয়ারি,২০২২