দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাসেলের পরিবার ইভ্যালির শেয়ার হস্তান্তর করতে চায়। এ বিষয়ে বোর্ডকে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে কেলেঙ্কারি শুরুর পর তিন মাস ধরে ইভ্যালির কেনা-বেচা এবং পণ্য সরবরাহের কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির আয়ের কোনো সংস্থান নেই। কিন্তু ব্যয় যথারীতি রয়েছে। ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপস বন্ধ রয়েছে। ফেসবুক পাতাতেও গত বছরের ১৮ অক্টোবরের পর নতুন কোনো আপডেট আসেনি।

এরআগে গত ৩১ জানুয়ারি ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের দুটি লকার ভাঙা হয়। আদালতের নির্দেশনায় গঠিত বোর্ডের পাঁচ সদস্য এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তারা ভেবেছিলেন লকারে অনেক টাকা থাকবে। কিন্তু লকার ভাঙার পর দেখা যায় একটি লকারে টাকা আছে মাত্র ২ হাজার ৫৩০, অন্য লকারে কোনো টাকা নেই। দুই লকারে পাওয়া গেছে বিভিন্ন ব্যাংকের দেড় শতাধিক চেক বই।

এদিকে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ইভ্যালির ৭টি গাড়ি নিলামে বিক্রির দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও একজন সহকারী রেজিস্ট্রার নিলামের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন। আর নিলামের সময় পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন রাখতে পুলিশ কমিশনার ও র‌্যাবের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সারাদেশে একাধিক মামলা রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)