যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: রাশিয়া–ইউক্রেন সীমান্তে তাদের সামরিক শক্তি (সৈন্য ও যুদ্ধসরঞ্জাম) অনেক গুণ বাড়িয়েছে। অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ মোতায়েনের পাশাপাশি সুখোই যুদ্ধবিমান দিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছে পুতিন সরকার।
অন্যদিকে মার্কিন সেনাদের সহায়তায় সামরিক অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। কিয়েভকে রক্ষায় বদ্ধপরিকর পশ্চিমারা। এরইমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী, পোল্যান্ডে অতিরিক্ত মার্কিন সেনা অবস্থান নিয়েছে। দেশটির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে তাঁবু খাটিয়ে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালালে এখান থেকেই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি পশ্চিমা অন্যান্য দেশের সাহায্য-সহযোগিতাও অব্যাহত রয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্রিটেনের দেওয়া অস্ত্র সরঞ্জামের চালান গ্রহণ করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেন নিয়ে যুদ্ধের দামামা মাঠেই সীমাবদ্ধ নয়। কূটনৈতিকভাবেও একে অপরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। ইউক্রেন সংকট নিরসনে দেশটিকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ক্রেমলিন। একইসঙ্গে কিয়েভের সঙ্গে ন্যাটোর যৌথ মহড়া বন্ধেরও তাগাদা দিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, মিন্সক চুক্তি পুনরায় পর্যালোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র যে আহ্বান জানিয়েছে তা ইউক্রেনের শান্তি প্রক্রিয়া নষ্টের চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের বাস্তবায়ন মানে ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। দ্বিতীয়ত এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।
ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা সমাবেশের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে জটিল আখ্যা দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। একমাত্র রাজনৈতিকভাবেই বর্তমান সংকটের সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। এ জন্য আলোচনার ওপর তাগিদ দিয়েছেন ওলাফ শলজ।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)