দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন আজ শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় তার।

বিএসএমএমইউতে মর্গ না থাকায় ময়নাতদন্তের জন্য কায়সারের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সৈয়দ কায়সারের ছোট ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘উনি (কায়সার) প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আমরা এখনো লাশ বুঝে পাইনি। লাশ বুঝে পেলে উনাকে মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’

এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর একই দিন তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গণহত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে তার বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ আনা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।

২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কায়সারকে সাতটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন। এর মধ্যে ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যার চারটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং আরও তিনটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে তাকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।

বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় কায়সারকে জামিন দেওয়া হলেও ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার দিন তাকে কারাগারের কনডেম সেলে পাঠানো হয়।

সৈয়দ কায়সারকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। তবে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)