দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নৌমহড়ার প্রস্তুতি নেওয়া রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ইউক্রেনের সমুদ্রপথ অবরোধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটি।

ওই অঞ্চলে ছড়াতে থাকা উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া আগামী সপ্তাহে নৌমহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর বিবিসির।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মইত্রো কুলেবা বলেছেন, রাশিয়ার বাহিনীগুলো আজভ সাগর পুরোপুরি অবরোধ করে রেখেছে এবং কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।

ইউক্রেনের দক্ষিণের এই দুটি সাগরে আগামী সপ্তাহ থেকে নৌমহড়া শুরু করবে রাশিয়া। মহড়া চলাকালীন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাগুলির প্রশিক্ষণ হবে উল্লেখ করে ওই উপকূলের সবাইকে প্রশিক্ষণ এলাকা থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করেছে তারা।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বিশাল এলাকাজুড়ে মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে, যা নজিরবিহীন। এতে উভয় সাগরেই জাহাজ চলাচল অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অলেক্সি রেজনিকভ এক টুইটে বলেছেন, ওই দুটি সাগরের আন্তর্জাতিক জলপথগুলো রাশিয়া অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

এক টুইটে ইউক্রেইনের মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরে সামরিক মহড়ার অজুহাতে ইউক্রেইনের সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব ও জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা সীমিত করে তাদের অর্থনীতির জন্য অপরিহার্য জাহাজ চলাচলে বাধা দিয়েছে।’

২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রেমিয়া উপদ্বীপকে তাদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার পর থেকে কৃষ্ণ সাগর ও আজভ সাগরে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২০১৮-তে রাশিয়া ইউক্রেন নৌবাহিনীর কয়েকটি জাহাজ জব্দ করেছিল।

ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশী বেলারুশে ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। এর পাশাপাশি ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে নৌমহড়া শুরু করতে যাচ্ছে মস্কো।

রাশিয়া তাদের ইউক্রেন সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ প্রায় লাখ খানেক সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে। রাশিয়া যে কোনো সময় তার প্রতিবেশী দেশটিতে আক্রমণ চালাতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ এতে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেও তাদের সে ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে দাবি করেছে মস্কো।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)