দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হিজাব বিতর্ক ছড়িয়েছে পুরো দেশে। এমনকি হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভের পর আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে।

এবার হিজাব না পরার কারণেই ভারতে ধর্ষণের হার সবচেয়ে বেশি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধান বিরোধীদলীয় দল কংগ্রেসের এক নেতা। খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা এবং এমএলএ জমির আহমেদ বলছেন, ‘ইসলামে হিজাবের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে পর্দা। মেয়েরা বড় হলে তাদের সৌন্দর্য লুকানোর জন্য পর্দা করতে হয়। আজ আপনারা দেখবেন যে, আমাদের দেশে ধর্ষণের হার সবচেয়ে বেশি। এর পেছনে কী কারণ বলে মনে করেন? এর কারণ হচ্ছে, অনেক নারী হিজাব পরেন না।’

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘অবশ্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক না। যারা নিজেদের রক্ষা করতে চায় এবং শারীরিক সৌন্দর্য সবার কাছে প্রকাশ করতে চান না তারাই কেবল হিজাব পরেন। হিজাব পরার রীতি ভারতে বহু বছর ধরে প্রচলিত।’

ভারতে হিজাব ইস্যুতে বিতর্ক থামছেই না। এর মধ্যে হিজাব ইস্যুতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেন, হিজাব পরা মেয়েই একদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন।

রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সাংসদ আসাদউদ্দিন নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘হিজাব পরা নারীরা কলেজে যাবেন, জেলা কালেক্টর হবেন, জেলাশাসক, চিকি়ৎসক, ব্যবসায়ী ইত্যাদি হবেন।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)