দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের কারাদণ্ড বা জরিমানা করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষা করতে পুলিশকে আরও সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।

ট্রাকচালকদের আন্দোলনে এরই মধ্যে কানাডায় বেশ জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তৃতীয় সপ্তাহ ধরে চলছে আন্দোলন। অবরুদ্ধ দেশটির রাজধানী। সে পরিস্থিতি অবসানে এবার ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনবিরোধী ট্রাকচালকদের আন্দোলন দমন করতে এবার জরুরি আইন ব্যবহারে পদক্ষেপ নিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো।

তবে এই জরুরি আইনের প্রয়োগের সময় হবে সীমিত, যুক্তিসংগত ও আনুপাতিক। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না।

জরুরি আইন প্রয়োগের ফলে আদালতের আদেশ ছাড়াই ব্যাংকগুলো যে কারো ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট সাময়িক অচল করে দিতে পারবে।

এদিকে রবিবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন উইন্ডসরের অ্যাম্বাসেডর ব্রিজ থেকে ট্রাক আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে। ফলে প্রায় এক সপ্তাহ পর কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ উন্মুক্ত হলো। যদিও দেশটির রাজধানী অটোয়াতে এখনও শত শত বিক্ষোভকারী রয়ে গেছেন।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো দাবি করেন, টিকার বিষয়টি সম্পূর্ণই একজন কানাডিয়ানকে নিরাপদে রাখা ও তার চাকরি সুরক্ষার জন্য।

তিনি জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের কারাদণ্ড বা জরিমানা করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষা করতে পুলিশকে আরও সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।

যদিও জরুরি আইনের বিষয়ে তিনি বলেছেন, আইনটি অস্থায়ীভাবে ও খুবই নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হবে।

তবে সমালোচকরা বলছেন, ভারতের কৃষকরা যখন দেশটির রাজধানী দিল্লির মহাসড়ক এক বছরের জন্য অবরুদ্ধ করেছিল, তার সমর্থনে সে সময় ট্রুডো বলেছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে কানাডা সর্বদা সেখানে থাকবে।’ অথচ নিজের দেশের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে তিনি জরুরি আইনের প্রয়োগ ঘটাচ্ছেন।

এর আগে করোনাভাইরাসের নতুন বিধিনিষেধে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ট্রাকচালকদের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। টিকা না নিলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এলেই থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন দেশটির ট্রাকচালকরা। সারা দেশ থেকে তারা জড়ো হতে থাকেন রাজধানী অটোয়ায়। সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)