দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: জটিল রোগ ডাউন সিনড্রোম-এর শিকার ১১ বছরের শিশুটি। এ কারণে তার আচার আচরণ অনেক সময় অপ্রকৃতিস্থ মনে হয়।

আর সেই কারণে স্কুলে সহপাঠীদের প্রায় সবার হরেক কিসিমের লাঞ্ছনা গঞ্জনার শিকার হতে হয় এম্বলা অ্যাদেমিকে। হরহামেশা তাকে নিয়ে ঠাট্টা, মস্করা, তামাশা করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না অন্য ছাত্রছাত্রীরা। ফলে স্কুল তার জন্য হয়ে উঠে আতঙ্ক আর অস্বস্তির অপর নাম।

তবে এ খবর একান ওকান করে দেশের প্রেসিডেন্ট স্তেভো পেন্দারোভস্কির কানে গিয়ে পৌঁছায়। বিশেষ শিশুটির ওপর এমন মানসিক নিপীড়ণের খবরে আর চুপ করে বসে থাকতে পারেননি রিপাবলিক অফ নর্থ মেসিডোনিয়ার প্রেসিডেন্ট স্তেভো পেন্দারোভস্কি।

তিনি ছুটে যান মেয়েটির অভিভাবকের কাছে। এরপর ছোট্ট মেয়েএম্বলার হাত ধরে নিজেই তাকে স্কুলে পৌঁছে দেন রাষ্ট্রপ্রধান পেন্দারোভস্কি। একই সঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদেরও বুঝিয়ে দেন, কোনও শারীরিক বা মানসিক সমস্যাই একজন মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। কাউকেই এর ভিত্তিতে অন্যদের থেকে আলাদাও করা যায় না।

প্রেসিডেন্টের এমন মানবিক আর ত্বরিৎ উদ্যোগ মন কেড়েছে নেট নাগরিকদের। খুশি হয়েছে নর্থ মেসিডোনিয়ার আমজনতাও।

১১ বছরের বালিকার এম্বলা দেশটির গোস্তিভার শহরের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তার সহপাঠীরা তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

তবে প্রেসিডেন্ট শিশু এম্বলাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়েই ক্ষান্ত হননি। তিনি ওই ঘটনার পর থেকে শিশু অধিকার নিয়ে সরব হন। তাদের অধিকার রক্ষায় পরিবার, স্কুল, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব থেকে শুরু করে দেশের আইনে কী কী করণীয় আছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় বসেন তিনি।

একজন শিশুকে অযাচিত নির্যাতন থেকে রক্ষায় এবং তার অধিকবার প্রতিষ্ঠা এমন আন্তরিক তৎপরতার জন্য প্রেসিডেন্ট পেন্দারোভস্কির প্রশংসা এখন সর্বত্র। ডেইলি মেইল

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)