দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ২০১২ সালে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। সেবার দলের নিলাম, খেলোয়াড় নিলাম, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে দারুণ সব পুরস্কারও ছিল খেলোয়াড়দের জন্য। অনেকটা গোছানো ছিল প্রথম আসর। তবে দিন যত গড়িয়েছে, ততই যেন সাদামাটা আকার ধারণ করেছে দেশের ক্রিকেটের এই জমজমাট আসরের।

প্রথম দুই আসের টুর্নামেন্ট সেরার জন্য পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল গাড়ি। এরপর থেকে সেটি আর হয়নি। এবার তো করোনা মহামারির দোহাই দিয়ে একেবারেই যাচ্ছেতাই ভাবে সেরেছে আসর। আগের বেশ কিছু আসরের মতো টুর্নামেন্ট সেরার জন্যও রাখেনি বড় কোনো পুরস্কর। চার চাকার গাড়ি তো দূরে থাক দুই চাকার মোটরসাইকেলও রাখা হয়নি টুর্নামেন্ট সেরার জন্য।

এবার টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় পাবেন মাত্র ২ হাজার ডলার। বিপিএলের গত সাত আসরে তিনবার টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব জেতেন সাকিব। এবারও টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন দেশ সেরা এই অল রাউন্ডার। দুইবার গাড়ী, একবার মটর সাইকেল পাওয়া সাকিব যদি এবার সেরা খেলোয়াড় হন তবে পাবেন মাত্র দুই হাজার ডলার আর্থিক পুরস্কার।

ফাইনালের আগে ১০ ম্যাচে ২৭৭ রান করার পাশাপাশি ১৫টি উইকেটও নিয়েছেন সাকিব। অলরাউন্ডার সাকিবের আশপাশেও নেই কেউ। যদিও ব্যাট হাতে বা বোলিং দিয়ে নজর কেড়েছেন অনেকে। চট্টগ্রামের ওপেনার উইল জ্যাকস ১১ ম্যাচে করেছেন ৪১৪ রান। খুলনা টাইগার্সের ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার করেছেন ৪১০ রান। তামিম ইকবাল করেছেন ৪০৭ রান। বোলারদের তালিকায় ১৮ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের দিক থেকেও পিছিয়ে বিপিএল। এই আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে মাত্র ১ কোটি টাকা। রানার্সআপ দলের জন্য রাখা আছে ৫০ লাখ টাকা। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়রা পেয়েছেন ৫০০ ডলার করে তবে ফাইনাল সেরা খেলোয়াড় পাবেন ১ হাজার ডলার।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)